মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

'এফডিসিই আমার ঘরবাড়ি'

বিনোদন রিপোর্ট
  ০৬ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
জায়েদ খান

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। শনিবার অনুষ্ঠিত চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বার্ষিক বনভোজনে দ্বি-সাধারণ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এর কারণ হিসেবে চিত্রনায়িকা ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার বলেন, কোনো সাংগঠনিক দুর্বলতা না পেয়ে জায়েদ খান ব্যক্তিগত আক্রোশ ধারাবাহিকভাবে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিসহ সাধারণ সম্পাদকের নামে মিথ্যা, মনগড়া, কুরুচিপূর্ণ কল্পকাহিনী সংবাদ সম্মেলন, ইউটিউব, ফেসবুক ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করায় গত বছর এপ্রিলের ২ তারিখে সভায় সর্বসম্মতিক্রমে জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।

এদিকে জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চলচ্চিত্র পরিষদ নেতা খোরশেদ আলম খসরু। শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনে প্রধান নির্বচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।

খসরু জানান, আজকের বনভোজনের শুরুতে শিল্পী সমিতির দ্বি-সাধারণ সভায় সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদনে ৯ নম্বর একটি বার্তায় জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিলের ঘোষণা দেওয়া হয়।

এমন খবরে জায়েদ খানের প্রতিক্রিয়া জানতে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, দেখুন, আমি এই সমিতির তিনবারের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। অথচ বনভোজনের দাওয়াতই পেলাম না। উল্টো শুনতে হলো আমার নাকি সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে! সত্যি বলতে আগেও বলেছি বহুবার। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবে। আমি যেন নির্বাচনে অংশ না নিতে পারি, সেটির জন্য যা করা দরকার, তা করবে। এখনো বলছি, এই অবৈধ ব্যক্তির অবৈধ সিদ্ধান্ত নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা নেই। আমি যা করার, সাংগঠনিক নিয়ম মেনেই করেছি এবং করব।

এর মধ্যেই শিল্পী সমিতির নির্বাচনী প্যানেল নিয়ে ঢালিউডে চলছে নানা হিসাব-নিকাশ। মিলছে দলবদলের খবর। নাম আসছে জায়েদ খানেরও। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচনমুখী নেতা জায়েদ খানের বিপক্ষে সাংগঠনিক এই সিদ্ধান্তটি বিস্ময়কর না হলেও বিব্রতকর বলে মনে করছেন অনেকে।

কারণ, গত নির্বাচনের পর টানা প্রায় এক বছর নিপুণ-জায়েদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্য দিয়েই পার করেছে সমিতি। বিষয়টি গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। যদিও সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন ছিলেন অনেকটাই নির্বিকার।

জায়েদ খানের প্রতি প্রশ্ন ছিল, কেন নির্বাচনের আগে এমন সিদ্ধান্ত এলো আপনার বিপক্ষে? তিনি বললেন, 'এই সংগঠন ও সংবিধানের প্রতিটি লাইন আমার মুখস্ত। আমি একজন সাংগঠনিক ছেলে। আমি জানি, কোনটা সংগঠনবিরোধী আর কোনটা ব্যক্তিবিরোধী। শুরু থেকেই আমার অভিযোগ, একজন ব্যক্তি ও তার অবৈধ কার্যক্রম নিয়ে। কোনো ব্যক্তি যদি অপরাধ করে, তার বিরুদ্ধে কি কেউ কথা বলতে পারবে না? ব্যক্তির দায় তো সংগঠনের নয়। আমি তো সংগঠনের বিরুদ্ধে কখনো কিছু বলিনি। তা হলে কেন সংগঠনবিরোধী বক্তব্যের দায় তুলে আমার সদস্যপদ বাতিল ঘোষণা করল? আর কাউকে বাতিল করতে হলে তো তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে হবে অন্তত তিনবার।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে