দক্ষিণী সিনেমার সুপারস্টার আলস্নু অর্জুনের হায়দরাবাদের জুবলি হিলসের বাড়িতে হামলা হয়েছে। রোববার ওসমানিয়া ইউনিভার্সিটি'স জয়েন্ট কমিটির আট সদস্য আলস্নু অর্জুনের বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। ইন্ডিয়া টু'ডে এ খবর প্রকাশ করেছে। এ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, প্রথমে পস্ন্যাকার্ড হাতে নিয়ে আলস্নু অর্জুনের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করে। এরপর আলস্নু অর্জুনের কুশপুত্তলিকা পোড়ায়। এরপর বাড়িতে ভাঙচুর করে হামলাকারীরা। হামলার সময়ে বাড়িতে ছিলেন না আলস্নু অর্জুন। এ ঘটনার পরে দুই সন্তান ও স্ত্রী স্নেহাকে নিয়ে বাড়ি ছাড়তে দেখা যায় 'পুষ্পা' তারকাকে।
আলস্নু অর্জুনের বাবা আলস্নু অরবিন্দ বলেন, 'আমাদের বাড়িতে কী ঘটেছে তা সবাই দেখেছেন। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার সময় এসেছে। আমি মনে করি না, কোনো কিছু নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানানোর এটি সঠিক সময়। পুলিশ ভাঙচুরকারীদের গ্রেপ্তার করেছে এবং এ বিষয়ে মামলা দায়ের হয়েছে। আর কেউ যাতে হট্টগোল করতে না পারে সেজন্য আমার বাড়ির কাছে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এই ধরনের ঘটনাকে কেউ উৎসাহিত করবেন না। এখন সময় এসেছে সংযমের। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।' হামলাকারীদের একজন বিক্ষোভের সময়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'আমাদের দাবি, আলস্নু অর্জুন প্রয়াত রেবতির পরিবারের খেয়াল রাখুক। ৬ ঘণ্টা জেলে থাকার পর কেন দেখা করতে গেলেন। অথচ একজন নারী মারা যাওয়ার পর কেউ পাত্তা দিলেন না।'
গত ৪ ডিসেম্বর রাতে হায়দরাবাদের সন্ধ্যা সিনেমা হলে 'পুষ্পা টু' সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এতে আলস্নু অর্জুন উপস্থিত থাকার খবর ছড়িয়ে পড়ে। ফলে উপচে পড়েন তার ভক্তরা। শত শত দর্শক ভিড় করলে ভেঙে পড়ে সিনেমা হলের প্রধান ফটক। এতে অনেক মানুষ পদদলিত হন; জ্ঞান হারান ৩৯ বছরের রেবতি ও তার কিশোর পুত্র। দ্রম্নত তাদের হাসপাতালে নেওয়া হলে রেবতিকে মৃত ঘোষণা করেন। তারপর থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশুটি। এ ঘটনায় হায়দরাবাদের চিকড়পলস্নী থানায় আলস্নু অর্জুন, তার নিরাপত্তারক্ষী এবং সন্ধ্যা সিনেমা হলের মালিকের বিরুদ্ধে সেকশন ১০৫ এবং ১১৮ (১) ধারায় মামলা করে রেবতির পরিবার। গত ১৩ ডিসেম্বর এ মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় আলস্নু অর্জুনকে। একদিন কারাভোগের পর জামিনে মুক্ত হন আলস্নু অর্জুন।