শনিবার, ০৩ মে ২০২৫, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২

পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

বিনোদন রিপোর্ট
  ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে মারধর, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর মামলায় আলোচিত নায়িকা পরীমনি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমির বিরুদ্ধে চার্জগঠনের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তারা এদিন আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। রোববার ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুনাইদ আসামি পক্ষের সময় আবেদন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন। আদালত এ আদেশের পর আগামী ২০ মার্চ সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেছেন।

পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত (সুরভী) এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, 'এদিন মামলাটি চার্জশুনানির জন্য ছিল। অসুস্থ থাকায় পরীমনি আদালতে হাজির হতে পারেননি। অপর আসামি জিমির পক্ষেও সময় আবেদন করা হয়। আদালত সময় আবেদন নামঞ্জুর করেন। তাদের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের আদেশ দেন। গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেন।'

এর আগে, গত ২৫ জুন এই মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন পরীমনি। শুনানি শেষে তাকে জামিন দেন ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালত। গত বছরের ১৮ মার্চ ব্যবসায়ী নাসিরের করা এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ বু্যরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরীমনি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

পরীমনি ও জিমির বিরুদ্ধে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে প্রতিবেদনে উলেস্নখ করা হয়। এরপর গত ১৮ এপ্রিল ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলামের আদালত দুই আসামিকে ২৫ জুন আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন।

পরীমনির বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ৬ জুলাই আদালতে মামলাটি করেন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন। মামলার এজাহারে বলা হয়, পরীমনি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহলসেবী। সুযোগ বুঝে তারা বিভিন্ন নামিদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পারসেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না।

পরীমনি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা

করে হয়রানির ভয় দেখান।

এজাহারে আরও বলা হয়, ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢুকে দ্বিতীয়তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন। পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন। বাদী ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত সোয়া ১টার দিকে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমনি উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাদী নাসির উদ্দিনকে ডাক দেন এবং তাদের সঙ্গে কিছু সময় বসার অনুরোধ করেন। একপর্যায়ে পরীমনি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাসির উদ্দিনকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একটি বস্নু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পারসেল দেওয়ার জন্য বাদীকে চাপ দেন। বাদী এতে রাজি না হওয়ায় পরীমনি বাদীকে

গালি দেন। বাদী এবং আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের একপর্যায়ে পরীমনি বাদীর দিকে একটি সারভিং গস্নাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির উদ্দিন মাথায় এবং বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরীমনি ও তার সহযোগীরা নাসির উদ্দিনকে মারধর ও হত্যার হুমকি দেন

ও ভাঙচুর করেন।

এদিকে পরীমনির মাথার ওপর মাদকের মামলাও ঝুলছে। ২০২১ সালের ৫ আগস্টর্ যাব বাদী হয়ে বনানী থানায় মামলাটি করেন। তার আগের দিন বনানীর বাসা থেকে নায়িকাকে বিপুল মদ ও মাদকসহ আটক করের্ যাব। পরদিন হয় মামলা। মাদকের এই মামলায় কয়েক দফা রিমান্ড ও প্রায় এক মাস জেল খেটে জামিনে মুক্তি পান পরীমনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে