বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২

গণপরিবহণ ছাড়া সবকিছুই চলছে তবুও লকডাউন

যাযাদি রিপোর্ট
  ২২ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০
গণপরিবহণ ছাড়া সবকিছুই চলছে তবুও লকডাউন

শেষ হলো আট দিনের সর্বাত্মক (!) লকডাউন। করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে দ্বিতীয় দফা লকডাউনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত ফের বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। শুরু থেকেই বিধিনিষেধ কার্যকর না হলেও শেষদিকে এসে একেবারেই ভেঙে পড়ে লকডাউন। বুধবার রাজধানীসহ সারাদেশে শুধুমাত্র গণপরিবহণ ছাড়া প্রায় সবকিছুই ছিল অনেকটাই স্বাভাবিক। এ দিন ঢাকায় বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের চাপে যানজট লেগে যেতে দেখা গেছে।

গত কয়েকদিনের রাজধানীসহ জেলা শহরগুলোর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশের

চেকপোস্টে কড়াকড়ি দেখা গেলেও বুধবার তার উল্টো চিত্র দেখা গেছে। ফার্মগেট, বিজয় সরণি, মহাখালি, বনানী, উত্তরা, গুলশান, নতুনবাজার, মগবাজার, বাড্ডা, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, গাবতলী, শ্যামলী, আসাদগেট,  কারওয়ানবাজার, শাহবাগ, ধানমন্ডি, মালিবাগ, কাকরাইল, পল্টন, গুলিস্তান ও পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় যান চলাচল অনেকটাই স্বাভাবিক ছিল বলে জানা গেছে। এসব এলাকার চেকপোস্টগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতাও ছিল ঢিলেঢালা।

ঢাকার বিভিন্ন সড়কে রিকশা, ব্যাটারিচালিত  রিকশা, সিএনজি, প্রাইভেটকার ও মোটর সাইকেলে যাত্রী পরিপহণ করতে দেখা গেছে। এমনকি অ্যাম্বুলেন্সে করেও যাত্রীরা গন্তব্যে গিয়েছেন। মোটর সাইকেলে দুই থেকে তিনজন করে যেতেও দেখা গেছে। সিএনজিতে চার থেকে পাঁচজন চলাচল করেছে। তবে সড়কজুড়ে রিকশা ও সিএনজির আধিপত্য ছিল বেশি। মানুষের আনাগোনাও ছিল চোখে পড়ার মতো।

আব্দুলস্নাহপুর এলাকায় দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্য জানান, রাস্তায় এত মানুষ, তাদের নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এত মানুষকে গুটিকয়েক পুলিশ সদস্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। যাদেরকে জিজ্ঞেস করা হচ্ছে, সবাই কোনো না কোনো অজুহাত দেখাচ্ছেন।

তাছাড়া অনেকেই চেকপোস্ট পর্যন্ত রিকশা বা সিএনজিতে এসেছেন। পায়ে হেঁটে চেকপোস্ট পার হয়ে আবার অন্য যানবাহনে করে গন্তব্যে পৌঁছেছেন। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ ও জরিমানা এড়াতেই এমন কৌশল নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তারা।

এদিকে, অন্যান্য দিনের মতো বুধবারও অলি-গলি ও বাজারে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। কাচাবাজার ছাড়াও মহলস্নার অন্যান্য দোকানপাটও খোলা থাকতে দেখা গেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে