আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে আসামিদের দন্ড দ্রম্নত কার্যকর হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার।
রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় উপাচার্য বলেন, 'এই হত্যাকান্ডের সর্বোচ্চ শাস্তির রায় ঘোষণা হয়েছে। আমরা মনে করি, এটা দ্রম্নত কার্যকর হওয়া উচিত।'
বুয়েটের শেরেবাংলা হলের আবাসিক ছাত্র আবরারকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষে নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়।
বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান বলেন, 'এ রায়ের ফলে একটি স্ট্রং মেসেজ যাবে যে, শিক্ষাঙ্গনে
কেউ এ ধরনের অপরাধ করলে তাদের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি অপেক্ষা করছে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের বা আবাসিক হলগুলোতে যের্ যাগিং বা শিক্ষার্থী নির্যাতন হয়, এই রায়ে তা অনেকটাই কমবে বলে আমি মনে করি।'
নীরব ছিলেন আসামিরা
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃতু্যদন্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবনের রায় ঘোষণার সময় উপস্থিত ২২ আসামি আদালতে স্বাভাবিক ছিলেন। আসামিদের কেউই কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি। প্রতিবাদ বা কোনো কথাও বলেননি।
পরে দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ তাদের এজলাস থেকে নামিয়ে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়েছে। এ সময় তারা পরিবারের সঙ্গেও কোনো কথা বলেননি।
বুধবার দুপুরে ঢাকার দ্রম্নত বিচার ট্রাইবু্যনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। তবে মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ২৫ আসামির মধ্যে ৩ আসামি পলাতক রয়েছেন। যে কারণে ২২ জনকে আদালতে হাজির করা হয়।
এর আগে সকালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২২ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর বেলা পৌনে ১২টায় তাদের এজলাসে তোলা হয়।
\হ
Copyright JaiJaiDin ©2022
Design and developed by Orangebd