শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রায় মানতে পারছেন না আসামিদের স্বজনরা

ম যাযাদি ডেস্ক
  ০৯ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় ২০ জনকে মৃতু্যদন্ড ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। তবে এ রায় মেনে নিতে পারছেন না দন্ডপ্রাপ্তদের স্বজনরা।

রায়ের পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি অমিত সাহার মা দেবী রানী সাহা অসন্তোষ প্রকাশ করেন বলেন, 'আমার ছেলে ঘটনা সময় ছিল না। সে নেত্রকোনার বাড়িতে যায়। তার অপরাধ সে ছাত্রলীগ করত। গণমাধ্যমের চাপে আমার ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে জড়ানো হয়েছে। সে নাকি শুধু মেসেঞ্জারে কথা বলেছে, এ জন্য যাবজ্জীবন! আশা করেছিলাম, অমিত খালাস পাবে।'

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত অপর আসামি মুয়াজ আবু

হুরায়রাও রায় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তার বাড়ি কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে। রায় শুনতে তার মা আদালতেই ছিলেন। মুয়াজ বুয়েটের ইইই বিভাগের ১৭তম ব্যাচের ছাত্র। তার মা বলেন, 'মুয়াজ আবরারকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছে। টাকা খরচ করে ওষুধ, স্যালাইন কিনেছে। তাকেই যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হলো।'

রায়ের সময় আসামিদের প্রিজন ভ্যান ও এজলাসে আনা-নেওয়ার সময় স্বজনদের অনেকেই তাদের সঙ্গে কথা বলেন।

সাজাপ্রাপ্ত মোর্শেদ অর্মত্য ইসলামের বাবা মুক্তিযোদ্ধা রবিউল ইসলাম। তিনি বলেন, 'আমি আমার ছেলেকে খুঁজে পুলিশে দিয়েছি। নিজে তাকে আত্মসমর্পন করিয়েছি। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে এই রায় আশা করিনি। গণহারে ফাঁসি ও যাবজ্জীবন দেওয়া হলো। এতে আমরা হতবাক। এমন রায়ের জন্য প্রস্তুত ছিলাম না।'

তিনি বলেন, 'ঘটনার আকস্মিকতায় এ হত্যাকান্ড ঘটেছে। কেউ পেশাদার অপরাধী নন। সবাই মেধাবী শিক্ষার্থী। আমরা উচ্চ আদালতে যাব।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে