রোববার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২

পিরোজপুর-২: আলোচনায় বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সৈকত

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
  ০৫ জুলাই ২০২৫, ১৭:১১
পিরোজপুর-২: আলোচনায় বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সৈকত
যায়যায়দিন

পিরোজপুর-২ (আসন নম্বর-১২৮) — নেছারাবাদ, কাউখালী ও ভান্ডারিয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত এই গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় আসনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছেন তারুণ্যের প্রতীক, সদা হাস্যোজ্জ্বল এবং বিনয়ী ব্যক্তিত্ব আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল বেরুনী সৈকত।

তিনি নেছারাবাদ উপজেলা জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির একজন সুপরিচিত নেতা এবং বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব হিসেবে। রাজনীতির প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতা ও নিষ্ঠার বীজ বপন করেছিলেন তাঁর পিতা, নেছারাবাদ উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মরহুম অধ্যক্ষ এম এ আব্দুল হাকিম।

পরিবারিক রাজনৈতিক উত্তরাধিকার বহন করলেও আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল বেরুনী সৈকতের নিজস্ব নেতৃত্বগুণ, সংগঠন পরিচালনার দক্ষতা এবং মাটি ও মানুষের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক তাঁকে রাজনৈতিক অঙ্গনে একজন উদীয়মান নেতৃত্বে পরিণত করেছে। তিনি একাধারে নেছারাবাদ উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করে আসছেন নিষ্ঠার সঙ্গে।

শিক্ষাক্ষেত্রেও তিনি ছিলেন উজ্জ্বল। তিনি ১৯৯৬ সালে ভারতের প্রখ্যাত University of Madras থেকে ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (BBA) এবং ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশের Presidency University, Dhaka থেকে মাস্টার্স ইন বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (MBA) সম্পন্ন করেন। উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত এই রাজনীতিক আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি ও পরিকল্পনায় বিশ্বাসী।

নেছারাবাদের মাটি ও মানুষের কল্যাণে তিনি দীর্ঘদিন ধরে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। কর্মী-কর্মীদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ, তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠনকে শক্তিশালীকরণ এবং বিএনপির আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ তাঁকে এলাকায় জনপ্রিয় করে তুলেছে।

জনগণের প্রতি তাঁর আচরণ সদালাপী, বন্ধুত্বপূর্ণ ও আস্থাভাজন নেতার পরিচয় বহন করে। তরুণ সমাজের মধ্যে তিনি অনুপ্রেরণা এবং প্রবীণদের কাছে একজন ভরসার প্রতীক। তাঁর নেতৃত্বে নেছারাবাদ উপজেলা বিএনপি নতুনভাবে সংগঠিত হয়েছে বলে এলাকাবাসীর মত।

আগামী সংসদ নির্বাচনে যদি তাঁকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি থেকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়, তবে তিনি পিরোজপুর-২ আসনে একটি শক্ত অবস্থান তৈরি করতে পারবেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

তরুণ নেতৃত্ব, আধুনিক চিন্তা ও সংগঠনের প্রতি নিবেদিত মনোভাব—এই তিনটি গুণের মেলবন্ধন আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল বেরুনী সৈকতকে আগামী দিনের রাজনীতিতে একজন সম্ভাবনাময় সংসদ সদস্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারে।

তিনি বলেন, নেছারাবাদ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি উপজেলার আওতাধীন ১০টি ইউনিয়নের ৯৯টি ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে গণতন্ত্র রক্ষার লক্ষ্যে এবং জনগণের ভোটাধিকার আদায়ের সংগ্রামে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডভিত্তিক কর্মী সভার আয়োজন করি।

এক যৌথ সভায় উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে উপস্থিত থাকাকালে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। এ ধরনের সহিংসতার মধ্যেও আমি দলের পক্ষে সংগঠনিক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখি।

পরবর্তীতে, আমি নেছারাবাদ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হ‌ই এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে ২০১৪ সালের একতরফা জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের প্রেক্ষাপটে দলীয় আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করি। ওই সময় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সংগঠিত করে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দেই।

২০১৫ সালে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের সময় দলীয় কার্যালয়ে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা আবারো হামলা চালায়, যার ফলে আমার মালিকানাধীন উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়।

তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক জাহিদ উদ্দিন অসুস্থ হয়ে পড়লে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যৌথভাবে স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আমাকে নেছারাবাদ উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করেন।

দায়িত্ব পাওয়ার পর আমি ১০টি ইউনিয়নে সাংগঠনিক সফর করি এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করি। এ সময় বহুবার যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলার শিকার হই।

কেন্দ্রীয় ও জেলা বিএনপির নির্দেশে প্রতিটি ইউনিয়নে কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করি। কিন্তু এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নের সময় পুলিশ ও আওয়ামী লীগ যৌথভাবে হামলা চালায়।

১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করতে নদীর পশ্চিম পাড় থেকে পূর্ব পাড়ে যাওয়ার পথে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা আকস্মিকভাবে আমাদের উপর হামলা চালায়।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণের সময় আটঘর কুড়িয়ানার বাজার এলাকা থেকে আমাকে গ্রেফতার করা হয়।

এছাড়া জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিত ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে নেছারাবাদ উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আমি স্বতঃস্ফূর্তভাবে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে