শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
এনআইডি সংশোধন

ভুল আবেদনে এডিটের সুযোগ থাকছে না

যাযাদি ডেস্ক
  ২৬ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০
ভুল আবেদনে এডিটের সুযোগ থাকছে না

এনআইডি (জাতীয় পরিচয়পত্র) সংশোধন আবেদনে কোনো ভুল হলে পরবর্তীতে তা এডিট করার সুযোগ থাকছে না। তবে সংশোধনী আবেদনে ভুল হলে ওই আবেদন বাতিল করে নতুন করে ফি জমা দিয়ে ফের আবেদন করা যাবে। এনআইডি অনুবিভাগের ইনফরমেশন সিস্টেম ব্যবস্থাপনা অধিশাখার সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম সই করা এক নির্দেশনায় বিষয়টি জানানো হয়েছে। নির্দেশনাটি বাস্তবায়নের জন্য ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে সব কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এতে বলা হয়েছে, জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য অনলাইনে আবেদন এন্ট্রি সাবমিট হওয়ার পর অথবা সরাসরি উপজেলা অফিস থেকে সংশোধনের আবেদন এন্ট্রি করে সাবমিট করার পর ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের অ্যাকাউন্ট থেকে ইসু্য (ক্যাটাগরি পেন্ডিং) করার আর কোনো সুযোগ নেই এখন থেকে। কোনো আবেদন এনআইডিডবিস্নউ থেকে ক্যাটাগরি অ্যাসাইন করার পর অফিসার বা অপারেটর কোনো পর্যায়েই ইসু্য ইনকমপিস্নট করার অথবা অন্য কোনো স্ট্যাটাসে নিয়ে কোনো ফিল্ড এডিট করার সুযোগ থাকছে না। আগে সংশোধনী আবেদনে ভুল হলে ইসু্য ইনকমপিস্নট করে এডিট করার সুযোগ ছিল।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, এনআইডি উইং থেকে অনলাইন এডজুডিকেশন পেন্ডিং স্ট্যাটাস থেকে ক্যাটাগরি অ্যাসাইন করা হবে। তাই কোনো সংশোধনের আবেদন সাবমিট করার পর যেহেতু কোনো এডিট করার সুযোগ থাকছে না, তাই আবেদন করার সময় সতর্কতার সঙ্গে ফিল্ড এডিট করতে উপজেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের কর্মরত ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের নির্দেশ দিতে অনুরোধ করা হলো।

এই নির্দেশনার পর এনআইডি সংশোধনী এন্ট্রিতে কোনো ভুল হলে পুনরায় ফি দিয়ে নতুন আবেদন করা ছাড়া বিকল্প কোনো উপায় নেই। নতুন আবেদন করার আগে অবশ্যই আগের আবেদন বাতিল করতে হবে। আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, সিনিয়র জেলা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, উপজেলা ও থানা নির্বাচন

কর্মকর্তাদের আবেদন এপ্রম্নভ/ক্যান্সেল/রিজেক্ট করার পর কোনো আবেদনের স্ট্যাটাস পরিবর্তন না করার জন্যও বলা হয়েছে নির্দেশনায়।

কর্মকর্তারা জানান, অনেকেই একটি আবেদন করার পর সেখানে কোনো ভুল পরিলক্ষিত হলে এডিট করে নিতেন। কিন্তু এখন থেকে সেই সুযোগটি আর থাকছে না। এখন থেকে আবেদন চূড়ান্তভাবে সাবমিট করার আগেই ভালো করে দেখে নিতে হবে। অন্যথায় আগের আবেদনটি বাতিল করার জন্য আবেদন করতে হবে। এরপর ফি জমা দিয়ে নতুন করে আবার আবেদন করতে হবে। বর্তমানে আবেদনের ধরন ভেদে ১১৫ টাকা সর্বোচ্চ ১০০০ টাকা ফি দিতে হয় বলে জানান কর্মকর্তারা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে