শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

আগামী সংসদে শ্রম আইনে থাকা ত্রম্নটি সংশোধন করা হবে : আইনমন্ত্রী

যাযাদি ডেস্ক
  ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০
আগামী সংসদে শ্রম আইনে থাকা ত্রম্নটি সংশোধন করা হবে : আইনমন্ত্রী

নির্বাচনের পর নতুন সংসদ বসলে শ্রম আইনের ত্রম্নটি সংশোধন করা হবে বলে জানিয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, 'শ্রম আইন সংশোধনী টাইপিংয়ে এমন কিছু ত্রম্নটি ছিল যে, তাতে শ্রমিকদের অধিকার ক্ষুণ্ন হবে। সে কারণে রাষ্ট্রপতি আইনটিতে সই না করে ফেরত পাঠিয়েছেন। শ্রমিকদের অধিকারের প্রতি সরকারের সদিচ্ছার প্রতিফলন হিসেবেই এমনটি হয়েছে।'

বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, 'কথা হচ্ছে, শ্রম আইনটা যখন সংসদে পাস হয়, পাস করার আগে এটি যখন সংসদে যায়, তখন একটা

\হত্রম্নটি ছিল। দেখা গেছে, এটা অন্য কোনো ত্রম্নটি না, এটা টাইপিংয়ের ত্রম্নটি। সেটা হচ্ছে, এক জায়গায় শ্রমিকদের সঙ্গে যদি মালিকরা বেআইনি আচরণ করেন তাহলে তাদের জন্য একটি সাজার কথা আইনের মধ্যে আছে। সেটা একটু মিসপেস্নস হয়ে গিয়েছিল। যেটা ২৯৪-এর এক হওয়ার কথা ছিল, সেটা সে রকম না হয়ে অন্য রকম হয়েছে।'

তিনি বলেন, আপনারা জানেন, অনেকগুলো বিল খুব তাড়াতাড়ি পাস হয়েছিল গত সংসদে। সে কারণে এ ভুলটা পরে ধরা পড়েছে। যে কারণে শ্রম মন্ত্রণালয় জিনিসটা রাষ্ট্রপতির কাছে সইয়ের জন্য গেছে, তখন এটা যেহেতু পরিলক্ষিত হয়েছে যে, শ্রমিকদের অধিকার ক্ষুণ্ন হয়ে যেতে পারে, সেজন্য রাষ্ট্রপতির কাছে ভুলের বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়েছে। তখন আইন অনুসারে বিলটিতে সই না করে আবার জাতীয় সংসদে পাঠিয়ে দিয়েছেন।'

আনিসুল হক বলেন, 'যেহেতু এটি সংসদে পাস হয়ে গেছে এবং এই জায়গাটুকু সংশোধন করতে হবে। এই সংশোধনের জন্য আইনটি আবার সংসদে যেতে হবে। তার মানে হচ্ছে, যেহেতু এখন তফসিল ঘোষণা হয়ে গেছে এবং বর্তমান সংসদে আর অধিবেশন হবে না, সেহেতু নির্বাচনের পর যে নতুন সংসদ বসবে, সেখানে এটা উপস্থাপন করা হবে এবং ভুল সংশোধন করে শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষা করা হবে।'

আইনমন্ত্রী বলেন, সরকার যখন দেখতে পেল যে, শ্রমিকদের যে অধিকার দেওয়া হয়েছিল, তাতে কিছু ত্রম্নটি হয়ে গেছে এবং সেটা শ্রমিকদের অধিকার খর্ব করবে, এজন্য সরকার এটা রাষ্ট্রপতির কার্যালয়কে জানিয়েছে। রাষ্ট্রপতি তার আইনি বিচারে সঠিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আইনটি কী দ্বাদশ সংসদে আবার উঠবে, নাকি মন্ত্রিসভায় পুনর্বিবেচনা করা হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, 'আইনটি এখন সংসদে আছে। যে ত্রম্নটিটা হয়েছে, মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের সময় ত্রম্নটিটি সঠিক ছিল, ভুলটা পরে হয়েছে। যে কারণে এটি মন্ত্রিসভায় যাওয়ার দরকার পড়বে না। যে কারণে নতুন সংসদে সংশোধনী হিসেবে উপস্থাপন করা হবে।'

তিনি বলেন, 'আইনটিতে মালিকদের কিছু আচরণের ব্যাখ্যা করে দেওয়া আছে। বলা আছে, কোনো মালিক কোনো বেআইনি লকআউট শুরু করলে কিংবা চালিয়ে গেলে অথবা তা এগিয়ে নেওয়ার জন্য কোনো কাজ করলে তিনি ছয় মাস পর্যন্ত কারাদন্ড অথবা ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড অথবা উভয়দন্ডে দন্ডিত হবেন। এই সাজাটা ছিল পাঁচ হাজার টাকা, কিন্তু এটা ২০ হাজার টাকা করেছি। এখানেই ত্রম্নটিটা হয়ে গেছে। এই ত্রম্নটি যখন শ্রম মন্ত্রণালয় ধরতে পেরেছে, তখন এটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন রাষ্ট্রপতি এটিকে ফেরত দিয়েছেন।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে