ভারতের মুম্বাইয়ের অন্যতম সেরা একটি স্কুলের এক শিক্ষিকা তার ছাত্রকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে পকসো আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের একজন নারী বন্ধুকেও মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই পাশবিক ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে যখন ভুক্তভোগী ছাত্রটি তার পরিবারের কাছে শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকা স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠানের জন্য একটি গ্রুপ নাচের প্রশিক্ষণ দেওয়ার সময় ওই ভুক্তভোগী ছাত্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর তিনি ছেলেটিকে মুম্বাইয়ের বিভিন্ন পাঁচতারা হোটেলে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতন করতেন।
সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই নির্যাতন এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছিল। অভিযুক্ত শিক্ষিকা ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ওই ছাত্রের সাথে প্রথম যোগাযোগ করেন এবং ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে তাকে প্রথম যৌন প্রস্তাব দেন। প্রাথমিকভাবে ছেলেটি এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে এবং শিক্ষিকাকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে। কিন্তু এরপরই শিক্ষিকা তার এক নারী বন্ধুকে ব্যবহার করেন, যিনি স্কুলের কেউ নন। ওই নারী বন্ধু নাবালকটিকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, বয়স্ক মহিলাদের সঙ্গে কিশোর ছেলেদের সম্পর্ক "খুবই স্বাভাবিক"। এই তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ওই নারী বন্ধুকেও এই মামলায় অভিযুক্ত করে গ্রেফতার করেছে।
এই ঘটনা মুম্বাই জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। পুলিশ এই ঘটনায় আরও বিস্তারিত তদন্ত চালাচ্ছে।
সূত্র: নিউজ২৮