শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি
  ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

যশোরের অভয়নগরে মো. মুরাদ হোসেন (২৮) নামে এক ওয়ার্ড যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার রাত ১০টার দিকে উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের মধ্য তরফদপাড়া এলাকায় স্বপ্ন ভিলার সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মুরাদ হোসেন মধ্য তরফদারপাড়া এলাকার মো. সাহাবুল ইসলামের ছেলে ও নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

এদিকে ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোববার মধ্যরাতে নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ আব্দুস সালামের অস্থায়ী কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

নিহতের বাবা সাহাবুল ইসলাম বলেন, মুরাদ নওয়াপাড়া বাজার থেকে রাত ১০টার দিকে বাড়ি ফিরছিল। বাড়ির কাছাকাছি স্বপ্ন ভিলার সামনে পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা একদল সন্ত্রাসী তাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশের সহযোগিতায় গুরুতর আহত মুরাদকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে নেওয়া হয়। পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। খুলনায় পৌঁছালে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

তিনি আরো বলেন, 'পূর্ব শত্রম্নতার জের ধরে আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। খুনিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক

শাস্তি দিতে হবে। কি অপরাধ করেছিল আমার ছেলে যে তাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করতে হবে।'

অভয়নগর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও পৌর কাউন্সিলর মো. তালিম হোসেন জানান, মুরাদ নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ আব্দুস সালামের অস্থায়ী কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের বিষয় জানতে তার সঙ্গে বার বার যোগাযোগ করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে সোমবার দুপুরে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আকিকুল ইসলাম বলেন, 'ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মুরাদ হোসেন হত্যার সঙ্গে জড়িত কয়েকজনের নাম পরিচয় পাওয়া গেছে। তাদের আটক করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নিহতের পরিবার থেকে এখনও কোনো মামলা করা হয়নি। তবে পুলিশের একাধিক টিম কাজ শুরু করেছে। দ্রম্নত সময়ের মধ্যে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করা হবে। ঘটনার পর ওই রাতে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর শেখ আব্দুস সালামের অস্থায়ী কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে