শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

অস্ত্রসহ আসা ২২ রোহিঙ্গার ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর

জাবেদ আবেদীন শাহীন, কক্সবাজার
  ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
অস্ত্রসহ আসা ২২ রোহিঙ্গার ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর

মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের মধ্যে বাংলাদেশের ক্যাম্প ছেড়ে রাখাইনে যাওয়া ২৩ রোহিঙ্গার মধ্যে ২২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার দুপুরে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গ্যা শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। অসুস্থতার কারণে কারাগারে থাকা এক রোহিঙ্গার রিমান্ড আদেশ মঞ্জুর করেননি বিচারক। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উখিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নাছির উদ্দিন মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ পরিদর্শক বলেন, 'রহমতের বিল সীমান্ত দিয়ে গত ৯ ফেব্রম্নয়ারি অস্ত্রসহ বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে ২৩ রোহিঙ্গাকে আটক করে বিজিবি। পরে ৩৪ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৩৪ ব্যাটালিয়নের পালংখালী বিওপির নায়েক সুবেদার মো শহিদুল ইসলাম উখিয়া থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। অস্ত্র মামলায় ২৩ জনকে শনিবার বিকাল ৩টায় কক্সবাজার আদালতে হাজির করে পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে রিমান্ড শুনানি সোমবার দুপুরে অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে বিচারক ২২ জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। তাদের কক্সবাজার কারাগার থেকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

নাছির উদ্দিন মজুমদার জানান, মিয়ানমার থেকে

অনুপ্রবেশকালে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ২৩ জনই রোহিঙ্গা। তারা উখিয়ার বালুখালী ও কুতুপালংয়ের বিভিন্ন ক্যাম্পের বাসিন্দা। কি কারণে তারা মিয়ানমারে গিয়ে আবার অস্ত্র হাতে এদেশে প্রবেশ করল- তার উত্তর খুঁজতে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

২৩ জনের অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা হলেন- উখিয়ার বালুখালী ৮ নম্বর ক্যাম্পের মৃত কবির আহমদের ছেলে মো. হোসেন আহমদ, একই ক্যাম্পের মো. ইউনুসের ছেলে মো রফিক, আ. রাজ্জাকের ছেলে আয়াতুলস্নাহ, ৯ নম্বর ক্যাম্পের মো. রফিকের ছেলে মো. জুনাইদ, একই ক্যাম্পের নুর কালামের ছেলে মো. হারুন, সমসের আলমের ছেলে মো. কায়সার, রশিদ আহমেদের ছেলে মো. সাবের, ১০ নম্বর ক্যাম্পের আবদুলস্নাহর ছেলে ওসামা, একই ক্যাম্পের জাফর আলমের ছেলে ওমর ফারুক, মো. তোহার ছেলে মো. সাদেক, মকবুল আহমদের ছেলে হারুন অর রশিদ, হামিদ হোসেনের ছেলে ইয়াসিন আরাফাত, দিল মোহাম্মদের ছেলে মো. ইসমাইল, মো. হোসেনের ছেলে মো. রহিম, ১১ নম্বর ক্যাম্পের আতা উলস্নাহর ছেলে নজু মোলস্না, ১৫ নম্বর ক্যাম্পের মো. সৈয়দের ছেলে সৈয়দ উলস্নাহ, একই ক্যাম্পের দিল মোহাম্মদের ছেলে হাফেজ আহমেদ, ২০ নম্বর ক্যাম্পের মো. রশিদের ছেলে মো. জোবায়ের, কুতুপালং এলাকার ৬ নম্বর ক্যাম্পের ইউসুফের ছেলে আব্দুলস্নাহ, একই এলাকার ৩ নম্বর ক্যাম্পের আবুল হাসেমের ছেলে এনামুল হাসান, ২ ক্যাম্পের ইমাম হোসেনের ছেলে মো. রফিক, একই ক্যাম্পের মৃত আবুল কালামের ছেলে সৈয়দুল ইসলাম, ৭ নম্বর ক্যাম্পের মৃত মো. জলিলের ছেলে মো. আরমান।

এ ঘটনায় উদ্ধার ১২টি অস্ত্রের মধ্যে ৫টি এসএমজি (সাবমেশিন গান), ১টি জি-৩ রাইফেল, ২টি পিস্তল ও ৪টি রিভলভার রয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে-এসএমজি গুলি ১৯৮ রাউন্ড, এমজি গুলি ৯৮ রাউন্ড, রাইফেলের গুলি ২৭৬ রাউন্ড, জি-৩ রাইফেলের গুলি ১০৩ রাউন্ড, পিস্তলের গুলি ১৯৩ রাউন্ড, পিস্তলের খালি কার্তুজ ২৫ রাউন্ড, রাইফেলের গ্রেনেড ফিউজ ৫ রাউন্ড, এসএমজি ম্যাগাজিন ৬টি, এলএমজি ম্যাগাজিন ৪টি, জি-৩ ম্যাগাজিন ১টি, পিস্তল ম্যাগাজিন ২টি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে