সোমবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১
বেইলি রোড ট্র্যাজেডি

নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬

সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুনের সূত্রপাত হ ৪১ জনের পরিচয় শনাক্ত হ ৩৯ জনের মরদেহ হস্তান্তর হ দগ্ধ ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক
যাযাদি রিপোর্ট
  ০২ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
আপডেট  : ০২ মার্চ ২০২৪, ০০:৩৭
রাজধানীর বেইলি রোডে অগ্নিকান্ডে পুড়ে যাওয়া বহুতল ভবন। ছবিটি শুক্রবার তোলা -নাজমুল ইসলাম

রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় শুক্রবার রাত ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মারা গেছেন ৪৬ জন। তাদের মধ্যে ৪১ জনের নামপরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এর মধ্যে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে ৩৯ জনের মরদেহ।

এদিকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের তথ্য পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস। বিস্ফোরণের এই তথ্য ধরে আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধানের কথা জানিয়েছেন এ বাহিনীর মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ভবনটিতে আগুন লাগে বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে। শুক্রবার বেলা ৩টা পর্যন্ত ১৭ ঘণ্টায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন ৪৬ জনের মৃতু্যর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন জানান, ১২ জন চিকিৎসাধীন। তারা কেউ শঙ্কামুক্ত নন। এর মধ্যে দুজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ১০ জন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও পস্নাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও পস্নাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক প্রবীর চন্দ্র দাস জানিয়েছেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মৃতু্যর কারণ 'কার্বন মনোক্সাইড পয়জনিং', সহজ ভাষায় যাকে বিষাক্ত ধোঁয়া বলা যায়।

ঢাকা জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম হেদায়েতুল ইসলাম জানিয়েছেন, লাশ বহনের জন্য নিহত ব্যক্তিদের স্বজনদের ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। বেলা সোয়া ১১টা পর্যন্ত

৩ জনের পরিবার এই অর্থ নিয়েছে। বাকিরা সচ্ছল হওয়ায় অর্থ নেয়নি। তিনি বলেন, আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য আপাতত ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এদিকে, মৃতু্যর ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও পস্নাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গিয়ের্ যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন ফায়ার সার্ভিসের বরাত দিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, নিচতলার ছোট একটি দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত। অনেকগুলো সিলিন্ডার থাকায় সেগুলো বিস্ফোরিত হয়ে ভবনে দ্রম্নত আগুন ছড়িয়ে যায়।

ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বেইলি রোডে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ভবনটিতে কোনো অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। ঝুঁকিপূর্ণ জানিয়ে ভবন কর্তৃপক্ষকে তিনবার চিঠি দেওয়া হয়েছিল কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

\হরাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) নগর পরিকল্পনাবিদ ও বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার (ড্যাপ) প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল ইসলাম বলেন, বেইলি রোডের যে ভবনে আগুন লেগেছে ওই ভবনের কেবল ৮ তলায় আবাসিকের অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। বাকি এক থেকে সাত তলা পর্যন্ত বাণিজ্যিক অনুমোদন নেওয়া হলেও সেখানে কেবল অফিস কক্ষ ব্যবহারের জন্য অনুমোদন ছিল। কিন্তু রেস্টুরেন্ট শোরুম বা অন্য কিছু করার জন্য অনুমোদন নেওয়া হয়নি।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও পস্নাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিবুর রহমান বলেন, আগুনের ঘটনায় তদন্তে যারা দায়ী হবেন, তাদের কঠোরভাবে আইনের আওতায় আনার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

৪১ জন শনাক্ত, ৩৯ মরদেহ হস্তান্তর

রাজধানীর বেইলি রোডে ভবনে আগুনের ঘটনায় মৃতদের পরিচয় শনাক্তের পর স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। ৪৬ মরদেহের মধ্যে পরিচয় শনাক্ত করা হয় ৪১টির। এরমধ্যে ৩৯ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

যাদের শনাক্ত করা হয়েছে তারা হলেন- ১. ফৌজিয়া আফরিন রিয়া (২২), পিতা: কুরবান আলী; কাকরাইল, ঢাকা। ২. পপি রায় (৩৬), পিতা: প্রলেনাথ রায়, মা: বাসনা রানী রায়; ২১৬ মালিবাগ, শান্তিবাগ, ঢাকা। ৩. সম্পনা পোদ্দার (১১), পিতা: শিপন পোদ্দার, মা: পপি রায়; সূত্রাপুর, দয়াগঞ্জ, ঢাকা। ৪. আশরাফুল ইসলাম আসিফ (২৫), পিতা: মৃত জহিরুল ইসলাম; উত্তর গোড়ান, খিলগাঁও, ঢাকা। গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা। ৫. নাজিয়া আক্তার (৩১), পিতা: মোহাম্মদ আলী, মা: নাজনীন আক্তার বেবি; ১৪ আরামবাগ, ঢাকা।

৬. আরহাম মোস্তফা আহামেদ (৬), পিতা: আশিক, মা: নাজিয়া আক্তার; ১৪ আরামবাগ, ঢাকা। ৭. নুরুল ইসলাম (৩২), পিতা: মুসলেম; বংশাল, বেচারাম দেউড়ি, ঢাকা। ৮. সম্পা সাহা (৪৬), পিতা: জয়ন্ত কুমার পোদ্দার; নবীপুর, মুরাদনগর, কুমিলস্না। ৯. শান্ত হোসেন (২৪), পিতা: আমজাদ হোসেন, নারায়ণগঞ্জ, ফতুলস্না। ১০. মায়শা কবির মাহি (২১), পিতা: কবির খান, (তাৎক্ষণিকভাবে ঠিকানা জানা যায়নি) এ ১১. মেহেরা কবির দোলা (২৯), পিতা: কবির খান, মতিঝিল এজিবি কলোনি, ঢাকা।

১২. জান্নাতি তাজরিন নিকিতা (২৩), পিতা: গোলাম মহিউদ্দিন; আর্কিট হাউজ, শান্তিনগর, কাকরাইল। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ১৩. লুৎফুর নাহার করিম (৫০), মা: জহুরা ইসলাম; রমনা সার্কিট হাউজ, ঢাকা। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষিকা। ১৪. মোহাম্মদ জিহাদ (২২), পিতা: জাকির হোসেন; পূর্বচর আলিমবাগ, কালকিনি, মাদারীপুর। ১৫. কামরুল হাসান (২০), পিতা: কবির হাসান; যশোর সদর উপজেলার মধ্যপাড়া। ১৬. দিদারুল হক (২৩), পিতা: মাইনুল হক; উত্তর পাড়া, ভোলা সদর।

১৭. অ্যাড. আতাউর রহমান শামীম (৬৫), পিতা: ফজলুল রহমান; কুলাউড়া, মৌলভীবাজার। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা নেতা। ১৮. মেহেদী হাসান (২৭), পিতা: মোয়াজ্জেম মিয়া; মির্জাপুর, টাঙ্গাইল। ১৯. নুসরাত জাহান শিমু (১৯), পিতা: আব্দুল কুদ্দুস; হাতিগাড়া, কুমিলস্না সদর, কুমিলস্না।

২০. সৈয়দা ফাতেমা তুজ জোহরা (১৬), পিতা: সৈয়দ মোবারক কাউসার; ৩৭৭ মগবাজার, মধুবাগ, ঢাকা। গ্রামের বাড়ি শাহবাজপুর, কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। একই পরিবারের পাঁচ জন নিহত। ২১. সৈয়দ আব্দুলস্নাহ (৮), সৈয়দ মোবারক কাউসার (ভাই)। (তাৎক্ষণিকভাবে ঠিকানা জানা যায়নি)। ২২. স্বপ্না আক্তার (৪০), আব্দুলস্নাহর মা. (তাৎক্ষণিকভাবে ঠিকানা জানা যায়নি)। ২৩. সৈয়দ মোবারক কাউসার (৪৮), পিতা: সৈয়দ আবুল কাশেম; ইতালি প্রবাসী ছিলেন। ২৪. সৈয়দা আমেনা আক্তার নুর (১৩), সৈয়দ মোবারক কাওসার। শাহবাজপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। বাবা ইতালি প্রবাসী ছিলেন।

২৫. জারিন তাসনিম প্রিয়তি (২০), পিতা: আওলাদ হোসেন; বিনোদপুর, মুন্সীগঞ্জ সদর। ২৬. জুলেল গাজী (৩০), পিতা: ইসমাইল গাজী; গুলশান মডেল টাউন, বাড্ডা, ঢাকা।

২৭. প্রিয়াংকা রায় (১৮), পিতা: উত্তম কুমার রায়, মা: রুবিয়া রায়। ১৩৪, মালিবাগ প্রথম লেন, শাহজাহানপুর। ২৮. রুবি রায় (৪৮), স্বামী: উত্তম কুমার রায়। ২৯. তুষার হাওলাদার (২৩), পিতা: দিনেশ চন্দ্র হাওলাদার; ঝালকাঠি, কাঁঠালিয়া উপজেলার তালগাছিয়া। বর্তমানে খিলগাঁওর গোড়ানে বসবাস করতেন। চাকরি করতেন একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে। ৩০. কে এম মিনহাজ উদ্দিন (২৫), পিতা: ওয়ালিউলস্নাহ খান, চাঁদপুর সদর উপজেলার ইসলামপুর গ্রাম। তিন ভাই। বর্তমানে মিরপুরের শেওড়াপাড়ায় থাকতেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন, একটি আইটি ফার্মে চাকরি করতেন। ৩১. সাগর (২৪), পিতা: তালেব প্রামাণিক, জেলা: ফরিদপুর। সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে চাকরি করতেন।

বার্ন ইনস্টিটিউটে রাখা ১০ মরদেহের পরিচয়- ৩২. তানজিলা নওরিন (৩৫), পিতা: নুরুল আলম, পিরোজপুর সদর। ৩৩. শিপন (২১), পিতা: ফজর আলী, শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার কালারচর। ৩৪. আলিসা (১৩), পিতা: ফোরকান; কালারচর, রমনা, ১০৪ কাকরাইল। ৩৫. নাহিয়ান আমিন (১৯), পিতা: রিয়াজুল আমিন, বরিশাল সদর কাউনিয়া। বুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্র। ৩৬. সংকল্প সান (৮), পিতা: শিপন পোদ্দার, যাত্রাবাড়ী, ২৬/সি দয়াগঞ্জ জেলেপাড়া। ৩৭. লামিসা ইসলাম (২০), পিতা: নাসিরুল ইসলাম, রমনা, মালিবাগ। পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজির মেয়ে। ৩৮. মো. নাঈম (১৮), পিতা: মো. নান্টু, বরগুনা। ৩৯. অভিশ্রম্নতি শাস্ত্রী (২৫), দা রিপোর্ট ডটকম নিউজ পোর্টালের রিপোর্টার।

বার্ন ইনস্টিটিউট ও ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি যারা-

বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন- ফয়সাল আহমেদ (৩৮), সুজন মন্ডল (২৪), প্রহিত (২৫), আবিনা (২৩), রাকিব হাসান (২৮), কাজী নাওশাদ হাসান আনান (২০), আজাদ আবরার (২৪), মেহেদী হাসান (৩৫), রাকিব (২৫) ও সুমাইয়া ( ৩১)। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন ইকবাল হোসেন (২৪) ও যোবায়ের (২১)।

\হযা বললেন কাচ্চি ভাইয়ের ব্যবস্থাপক

এদিকে, বেইলি রোডের 'গ্রিন কোজি কটেজ' ভবনে আগুনের সূত্রপাত দ্বিতীয় তলার কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁ থেকে হয়নি বলে দাবি করেছেন রেস্তোরাঁটির ব্যবস্থাপক আবদুল হালিম।

অগ্নিকান্ডের পরদিন শুক্রবার ঘটনাস্থলের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, 'আগুনের সূত্রপাত নিচ তলার চুমুক রেস্টুরেন্ট থেকে। আমি নিজে দেখেছি সেখান থেকেই প্রথমে আগুনের ধোয়া বেরুচ্ছে। যেভাবে আমরা মিডিয়ায় দেখলাম যে, কাচ্চি ভাই থেকে এই করছে, হেই করছে। কাচ্চি ভাইয়ের ওখানে আপনারা উঠে দেখুন এখনো কাচ্চি ভাইয়ের কিচেন যেটা পেছনে, সেই কিচেন ঠিক আছে। আগুনের চিহ্ন পাবেন না। আগুন লাগছে সামনে। তাহলে কাচ্চি ভাইয়ের কিচেন থেকে আগুন কীভাবে লাগল আপনারা বলেন?'

কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁ থেকে আগুন লাগার খবর সঠিক নয় দাবি করে হালিম বলেন, 'আগুনের সূত্রপাত নিচ থেকে। আমি মনে করি পুলিশসহ যারা এখন তদন্ত করছে তাদের তদন্তে বেরিয়ে আসবে। এটা সঠিক প্রচার নয়। এটা শুধু শুধু হয়রানি করা। আমি মিডিয়ার ভাইদের কাছে সবিনয়ে অনুরোধ রাখব আপনারা সত্যটা উদঘাটন করেন কিন্তু অতি উৎসাহী হয়ে কাউকে ফাঁসানোর চেষ্টা কইরেন না, পিস্নজ।'

আগুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

এদিকে রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকান্ডে প্রায় অর্ধশত প্রাণহানির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- ভবনটির নিচতলার চা-কফির দোকান 'চুমুক'র দুই মালিক আনোয়ারুল হক ও শফিকুর রহমান রিমন এবং বিরিয়ানি রেস্তোরাঁ 'কাচ্চি ভাই'র বেইলি রোড শাখার কর্মকর্তা জয়নুদ্দিন জিসান।

শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) খ মহিদ উদ্দিন।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, আটতলা গ্রিন কোজি কটেজের নিচতলায় অবস্থিত 'চুমুক' নামের চা-কফির দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। তারা স্থানীয়দের কাছ থেকে সংগৃহীত একটি ভিডিওকে তদন্তের বড় আলামত হিসেবে দেখছে।

ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ভবনে নিচতলায় আগুন লেগেছে, আর তা নেভানোর চেষ্টা করছেন কেউ কেউ।

ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের সিনিয়র স্টাফ অফিসার শাহজাহান শিকদার বলেন, 'একটি ভিডিও পাওয়া গেছে। আগুনের সূত্র খুঁজতে গিয়ে এটি পাওয়া যায়। এটি স্থানীয় লোকজন আমাদের দিয়েছে। আমাদের করা ভিডিও না।'

'এটি একটি সূত্র, তবে চূড়ান্ত নয়। তদন্তের সময় অনেকের সাথে কথা বলতে হবে, আরও তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। তার পরেই বলা যাবে প্রকৃত ঘটনা'- সংবাদ সম্মেলনে বলেন তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে