শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২

রোজায় খেজুরের দাম বেঁধে দেওয়ার চিন্তা সরকারের

যাযাদি রিপোর্ট
  ১১ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
রোজায় খেজুরের দাম বেঁধে দেওয়ার চিন্তা সরকারের
রমজান উপলক্ষে চাহিদা বেড়েছে খেজুরের। রোববার রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মার্কেটের সামনে খেজুরের দোকানগুলোতে ছিল ক্রেতাদের ভিড় -যাযাদি

রোজা শুরুর আগে এবার বাজারে রোজার অন্যতম অনুষঙ্গ খেজুরের দাম চড়া। রমজানের বেশ আগেভাগেই বেড়ে গেছে খেজুরের দাম। এ কারণে আমদানি করা খেজুরের শুল্ক-করও কমিয়েছে সরকার। তাতে দাম খুব বেশি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এ কারণে সরকারের পক্ষ থেকে খেজুরের সর্বনিম্ন দাম বেঁধে দেওয়ার কথা ভাবছে সরকার।

রমজানকে সামনে রেখে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী টি কে গ্রম্নপের সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্যপণ্য বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রোববার এ কথা জানান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, খেজুরের দাম বেড়েছে। সরকার দাম নিয়ন্ত্রণে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। এরপরও

রোজায় বাজার নিয়ন্ত্রণে না এলে সরকার দাম বেঁধে দিতে বাধ্য হবে। এ ব্যাপারে কাজ চলছে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতেই সেটি করা হবে বলে জানান তিনি।

এএইচএম সফিকুজ্জামান আরও বলেন, 'সরকার চায় সাধারণ মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে রোজা পালন করতে পারে। খেজুরের সঙ্গে আমাদের আবেগ জড়িয়ে আছে। সুতরাং, সাধারণ মানুষ যেসব খেজুর খান, তার দাম যাতে লাগামহীন না হয়, সে জন্য বাজারে তদারকি অব্যাহত থাকবে।'

বাজারে কম দামের খেজুরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাহিদা 'জাহিদি' খেজুরের। এই খেজুরের দাম বাজারে এখন ২২০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। গত বছর রমজানে এই খেজুরের দাম ছিল ১৫০ টাকার মতো। আর ২০২২ সালে রোজার আগে এ খেজুর ৮০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এখনো কম দামের খেজুরের দাম বেঁধে দেওয়া নিয়ে সরকারের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর ফল আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম শেখ। তিনি বলেন, 'সরকার আমাদের ডাকলে আমরা আলোচনা করতে চাই। খেজুরের দাম যে বেড়েছে, এটা সত্য। আমরাও তাই চেষ্টা করছি, দাম কিছুটা কমিয়ে রাখতে। যাতে দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে।'

বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) একটি বিশ্লেষণ বলছে, সরকারের শুল্ক-কর কমানোর ফলে খেজুরের দাম মানভেদে কেজিতে ১৩ টাকা থেকে ৩৩ টাকা কমার কথা। কিন্তু সেটি হয়নি। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআরের কর্মকর্তারা খেজুর আমদানিতে অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু বা শুল্কায়ন মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছেন, তাই শুল্ক কমানোর কোনো প্রভাব দামে পড়ছে না। এছাড়া ডলারের উচ্চমূল্যের কারণে খেজুরের আমদানি খরচও এবার বেশি পড়ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে