সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

ঈদযাত্রা :অনলাইনে টিকিটযুদ্ধ, এক ঘণ্টায় দুই কোটি হিট

যাযাদি রিপোর্ট
  ৩০ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

আসন্ন ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট শতভাগ ডিজিটাল হওয়ায় এ বছর টিকিট প্রত্যাশীদের 'অনলাইন যুদ্ধ' শুরু হয়েছে। অনলাইন পস্ন্যাটফর্মে টিকিট উন্মুক্ত করার পর গত কয়েকদিনের তুলনায় শুক্রবার সর্বাধিক মানুষ চেষ্টা চালিয়েছেন। এদিন ৮ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। সকাল ৮টায় পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট বিক্রি শুরুর প্রথম ৩০ মিনিটে রেকর্ড ১ কোটি ২৮ লাখ বার টিকিট কাটার জন্য ওয়েবসাইটে চেষ্টা (হিট) চালানো হয়েছে। আর প্রথম এক ঘণ্টায় ২ কোটির মতো হিট হয়েছে।

শুক্রবার পশ্চিমাঞ্চলের (রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের জন্য) ১৫ হাজার ৮৯০টি টিকিট বিক্রির জন্য ছাড়া হয়। প্রথম ১৫ মিনিটে ৭ হাজার ১৯৪টি টিকিট বিক্রি হয়ে যায়। আধা ঘণ্টায় বিক্রি হয় ১২ হাজার ৭৮৩টি টিকিট। সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে নির্ধারিত প্রায় সব টিকিট বিক্রি হয়ে যায়।

দুপুর ২টা থেকে রেলের পূর্বাঞ্চলের টিকিট বিক্রি হয়। পূর্বাঞ্চলের মধ্যে রয়েছে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের টিকিট। এ অঞ্চলের জন্য শুক্রবার টিকিট ছাড়া হয় ১৬ হাজার ৬৯৬টি।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রোজার ঈদ সামনে রেখে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরুর ষষ্ঠ দিনে টিকিটের চাহিদা আগের কয়েকদিনের চেয়ে বেড়েছে।

আগামী ১১ এপ্রিল ঈদের সম্ভাব্য দিন হিসাব করে ঈদযাত্রার সূচি সাজিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সে অনুযায়ী গত রোববার ৩ এপ্রিল ট্রেনযাত্রার টিকিট অনলাইনে উন্মুক্ত করা হয়। ৩০ মার্চ পর্যন্ত টিকিট বিক্রি চলবে, সেদিন বিক্রি হবে ৯ এপ্রিলের টিকিট। এছাড়া চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে।

রেলওয়ের ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, শুক্রবার সকাল ৮টায় অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরুর আগে রাজশাহী স্টেশনের জন্য ধূমকেতু এক্সপ্রেসে ৩৫৪টি, বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনে ৬৩৬টি, সিল্কিসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে ২৮৮টি, মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনে ৭০টি এবং পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনের ৬৬০টি আসন ছিল। তবে বিক্রি শুরুর পর সকাল ৮টা ২ মিনিটে দেখা যায় এসব ট্রেনে রাজশাহীর সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।

সকাল ৮টা ৩ মিনিটে দিনাজপুর স্টেশনের জন্য থাকা 'অ্যাভেইলেবল টিকিটের' ঘর শূন্য দেখাচ্ছিল। কয়েকটি টিকিট আছে দেখালেও সেগুলো কিনতে গেলে বিক্রি দেখাচ্ছিল। বিক্রি শুরুর আগে এই স্টেশনের জন্য একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের ১৩১টি, দ্রম্নতযান এক্সপ্রেস ট্রেনের ১৬২টি, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের ২১৪টি আসন ছিল।

পার্বতীপুর স্টেশনের জন্য নীলসাগর এক্সপ্রেসের ৯০টি, একতা এক্সপ্রেসের ১০৩টি, চিলাহাটি এক্সপ্রেসের ১৫৮টি, দ্রম্নতযান এক্সপ্রেসের ৯৫টি, কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের ৭৭টি, পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের ১৪২টি টিকিট ছিল বিক্রি শুরুর আগে। বিক্রি শুরুর প্রথম ৩ মিনিটের মধ্যে এসব ট্রেনের সব টিকিট বিক্রি হয়ে যায়।

রংপুর স্টেশনের জন্য রংপুর এক্সপ্রেসের ১১২টি এবং কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের ১১৪টি টিকিট ছিল শুক্রবার সকালে। ৮টা ৪ মিনিটের মধ্যে ওই টিকিটগুলো বিক্রি হয়ে যায়। ওই সময় পর্যন্ত ওই দুটি ট্রেনের অন্যান্য স্টেশনের জন্য বরাদ্দ টিকিটও বিক্রি হয়ে গেছে দেখাচ্ছিল।

খুলনা স্টেশনের জন্য সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনের ১০৬টি এবং চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের ১৮২টি টিকিট ছিল। বিক্রি শুরুর পর ৮টা ৫ মিনিটে সবগুলো টিকিট বিক্রি হয়ে যায়।

শুক্রবার সহজ ডট কমের চিফ অপারেটিং অফিসার সন্দ্বীপ দেবনাথ জানান, এ দিনের পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট পেতে রেল সেবা অ্যাপে প্রথম আধা ঘণ্টাতেই (সকাল ৮ থেকে সাড়ে আটটা) হিট পড়েছে ১ কোটি ২৮ লাখ। একটি টিকিটের জন্য গড়ে ৮০৫ জন যাত্রী চেষ্টা করছেন।

এবার ঈদের আগে সারাদেশের বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী আন্তঃনগর ট্রেনের ৩৩ হাজার ৫০০টি টিকিট বিক্রি হবে। ঈদ উপলক্ষে সারাদেশের বিভিন্ন রুটে আট জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানো হবে বলে রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে