সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

ফের বেড়েছে চালের দাম

যাযাদি রিপোর্ট
  ৩০ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
দীর্ঘদিন বাজার স্থিতিশীল থাকলেও চলতি সপ্তাহসহ গত এক মাসে দুই দফায় বেড়েছে চালের দাম। ছবিটি শুক্রবার মোহাম্মদপুরের কাঁচা বাজার থেকে তোলা -ফোকাস বাংলা

দীর্ঘদিন চালের বাজার স্থিতিশীল থাকলেও রমজানের শুরু থেকে তা বাড়তির দিকে রয়েছে। চলতি সপ্তাহসহ গত একমাসে দুই দফায় বেড়েছে প্রধান এই খাদ্য পণ্যের দাম। এছাড়াও দাম বেড়েছে আলু ও পেঁয়াজের। অন্যদিকে অপরিবর্তিত দামে বিক্রি হয়েছে সবজি, মাছ, মাংসসহ অন্যান্য মুদি পণ্য। শুক্রবার রাজধানীর বাজারে নিত্যপণ্যের দামে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

এদিন রাজধানীর বাজারে মোটা চালের কেজি বিক্রি হয়েছে ৫৩ টাকা দরে, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৫১ টাকার মধ্যে। অন্যদিকে মাঝারি মানের চালের মধ্যে পাইজাম ও বিআর ২৮ এর কেজি বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৬০ টাকা দরে, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৫৫ টাকা দরে, আর মিনিকেট ও নাজিরশাইলের মতো সরু চালের কেজি বিক্রি হয়েছে ৬৬ থেকে ৮০ টাকা দরে, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৬২ থেকে ৭৮ টাকার মধ্যে।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, প্রতি কেজি চালের দাম গত এক সপ্তাহে দুই থেকে তিন টাকা বেড়েছে। বাজারে মোটা চালের কেজি গত এক সপ্তাহে দুই টাকা বেড়ে ৫২ টাকা হয়েছে। আর সরু চালের দাম বেড়েছে কেজিতে তিন টাকা।

অন্যদিকে পেঁয়াজের বাজার গত কয়েক সপ্তাহ ধরে নিম্নমুখী ছিল। এ মাসের শুরুতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির ও হালি জাতের পেঁয়াজ বাজারে উঠতে শুরু করায় দাম কেজিতে ৬০ টাকা পর্যন্ত কমে যায়। কিন্তু ভারত আবারও অনির্দিষ্টকালের জন্য পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় দেশের বাজারে দাম বাড়তির দিকে রয়েছে। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়ে বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকার উপরে।

অন্যদিকে আলুর বাজারে সপ্তাহ খানেকের ব্যবধানে দাম কেজিতে বেড়েছে ৫ টাকার মতো। তবে এক মাসের ব্যবধানে বেড়েছে আরও বেশি; ১২ থেকে ১৫ টাকা। এ দিন প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা দরে। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়।

তবে বাজারে কমতির দিকে রয়েছে বেশির ভাগ সবজির দাম। গত সপ্তাহের দামেই অপরিবর্তিত রয়েছে ভোজ্যতেল ও চিনির বাজার। এ দিন সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেগুনের কেজি বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা দরে। একইভাবে শসার কেজিতে প্রায় বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকা এবং লাউ বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকায়। এছড়া মিষ্টিকুমড়া, চিচিঙ্গা, গাজর, টমোটো, ঝিঙার মতো সবজি বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে। বিক্রেতারা জানিয়েছেন রমজানে মাছ-মাংসের চাহিদা বাড়তি থাকায় বাজারে সবজির পরিমাণ বেড়েছে। ফলে দাম কমতির দিকে রয়েছে।

এছাড়াও এ সপ্তাহে অপরিবর্তিত দামে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হয়েছে ২১০ টাকা এবং সোনালি ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকা দরে এবং ডিমের ডজন বিক্রি হয়েছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা দরে।

প্রায় অপরিবর্তিত দামে বিক্রি হয়েছে মাছ ও মাংস। এ দিন প্রতিকেজি গরুর মাংশ বিক্রি হয়েছে ৭৭০ থেকে ৮০০ টাকায়। এদিকে মাছ বাজারে মাঝারি আকারের রুইয়ের কেজি বিক্রি হয়েছে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, বড় কাতল ৪০০ টাকা, বড় পাঙ্গাশ ২২০ টাকা, চাষের কই (ছোট) ৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০, শিং মাছ ৪০০ থেকে ৫০০, শোল মাছ ৮০০, পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০, ট্যাংরার কেজি আকার ভেদে ৬০০ থেকে ৭০০, মলামাছ ৫০০, বাইলা ৮০০, পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০, মাঝারি আকারে বোয়াল ৫০০ থেকে ৬০০, গুঁড়ামাছ ৩০০, ছোট চিংড়ি ৫০০, গলদা ৭০০ এবং বাগদা ৮০০ থেকে ৯০০ ও রূপচাঁদা ৯০০ টাকা দরে। সেই হিসাবে গত সপ্তাহের তুলনায় বিভিন্ন ধরনের মাছে প্রতি কেজিতে ৫০ থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে