বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ নেতাদের প্রবেশের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

যাযাদি রিপোর্ট
  ৩০ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ নেতাদের প্রবেশের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসে গত বুধবার মধ্যরাতে ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাকর্মীসহ বহিরাগতদের প্রবেশের প্রতিবাদে শুক্রবার বিক্ষোভ করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

দুপুর আড়াইটা থেকে বুয়েট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা 'ছাত্র রাজনীতির ঠিকানা, এই বুয়েটে হবে না', 'আবরার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না', 'পলিটিক্সে যুক্ত যারা, হল থেকে করব ছাড়া' ইত্যাদি সেস্নাগান দেন।

এ সময় আগামী ৩০ ও ৩১ মার্চের টার্ম ফাইনাল পরীক্ষাসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বুয়েট শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। এগুলো হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্পষ্ট বিধিমালা লঙ্ঘনের দায়ে বুধবার মধ্যরাতে রাজনৈতিক সমাগমের মূল সংগঠক পুরকৌশল বিভাগের ২১তম ব্যাচের ছাত্র ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইমতিয়াজ রাব্বিকে বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কার এবং হলের (আসন) বাতিল; ওই ঘটনায় ইমতিয়াজ রাব্বির সঙ্গে বুয়েটের বাকি যেসব শিক্ষার্থী জড়িত ছিলেন, তাদের বিভিন্ন মেয়াদে হল এবং টার্ম বহিষ্কার; যেসব বহিরাগত রাজনৈতিক ব্যক্তি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না ও তারা কেন কীভাবে প্রবেশ করার অনুমতি পেলেন, সে ব্যাপারে বুয়েট প্রশাসনের সুস্পষ্ট সদুত্তর ও জবাবদিহি; প্রথম দুটি দাবি দ্রম্নততম সময়ে বাস্তবায়ন না হলে ডিএসডবিস্নউর পদত্যাগ এবং আন্দোলনরত বুয়েট শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কোনো রকম হয়রানিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ার বিষয়ে লিখিত প্রতিশ্রম্নতি দেওয়া।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বুধবার রাত ১টার দিকে বুয়েটে একটি বিশেষ রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের বেশ ক'জন শীর্ষস্থানীয় নেতা ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক দিয়েই ভেতরে ঢুকেছেন। অথচ রাত সাড়ে ১০টার পর নিরাপত্তাজনিত কারণে বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদেরই ক্যাম্পাসে ঢোকার অনুমতি নেই, সেখানে রাজনৈতিকভাবে সংশ্লিষ্ট বহিরাগত ব্যক্তিদের মধ্যরাতেই বুয়েট ক্যাম্পাসে অনুপ্রবেশ ঘটে। শুধু তারাই নয়, রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একের পর এক বহিরাগত রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর মোটর সাইকেল ও প্রাইভেট কার ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে আসতে থাকে। রাত ২টার পর মিছিলের মতো করে বিশাল একটি বহর ফুলের তোড়া নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। সেই জনবহরের সবাই বহিরাগত ছিল এবং তাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ছিল।

এতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী সাংগঠনিক রাজনীতি নিষিদ্ধ, এমন একটি ক্যাম্পাসে রাতের আঁধারে এত বড় একটি রাজনৈতিক সমাগম এবং বহিরাগতদের আগমন ক্যাম্পাসের মর্যাদার প্রতি তীব্র অপমানজনক। একই সঙ্গে এটি একটি নিরাপদ ক্যাম্পাস এবং শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠু স্বাভাবিক শিক্ষা পরিবেশের নিরাপত্তার ব্যাপারকে গুরুতরভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এবং ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তর কোনোভাবেই এই দায় এড়িয়ে যেতে পারে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে