চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলায় সাদিয়া আকতার নিতু নামে দশম শ্রেণির এক কিশোরীর বাল্যবিয়ে আটকে দিলেন ইউএনও। বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে কাজীর আগেই তিনি পৌঁছে যান করেন বাড়িতে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মফিজুর রহমানের বাড়িতে।
জানা যায়, ওই অভিভাবক তার ১৫ বছর বয়সি মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার সব বন্দোবস্ত করেন। অপেক্ষা ছিল শুধু কাজি আসার। তবে এর মধ্যে বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিগ্যান চাকমা।
পরে তিনি বাল্যবিবাহের সত্যতা পেয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন এবং ওই কিশোরীর প্রাপ্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেওয়ার নিষেধাজ্ঞা দেন পরিবারকে। মেয়েটির বাবার অনুপস্থিতিতে তার মা নাসরিন বেগম ও নানা মফিজুর রহমানের কাছ থেকে লিখিত অঙ্গিকারের স্বাক্ষর নেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিগ্যান চাকমা বলেন, 'ন্যাশনাল হেল্প লাইন থেকে বাল্যবিবাহের বিষয়টির তথ্য পেয়ে তাৎক্ষণিক ওই এলাকায় গিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দিই। প্রাপ্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেওয়ার বিষয়ে আইনি নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এর পরও যদি বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে তাহলে জেল বা যে কোনো আইনের আওতায় এনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'