রোববার, ০৪ মে ২০২৫, ২০ বৈশাখ ১৪৩২
নানা ইসু্যতে বিক্ষোভ-অবরোধ ও সংঘর্ষ-সংঘাত

বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে সতর্ক সরকার

আন্দোলনের নামে কেউ যাতে রাজপথে নেমে ভাঙচুর, বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ, যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে না পারে, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে
সাখাওয়াত হোসেন
  ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে সতর্ক সরকার

৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর প্রায় প্রতিদিনই নানা দাবি-দাওয়া নিয়ে ধর্মঘট, বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। এসবের বাইরে আধিপত্য বিস্তারসহ নানা ইসু্যতে বিভিন্ন পক্ষ সংঘর্ষ-সংঘাতে জড়াচ্ছে। সব মিলিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অস্থিরতা নৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এরইমধ্যে সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের ঘোষণায় টানা পঞ্চম দিনের মতো মহাখালী-গুলশান সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছে। তাদের দাবি মেনে না নেওয়া হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এদিকে, ক্ষমতাচু্যত আওয়ামী লীগ ফেব্রম্নয়ারি মাস জুড়ে আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে। অন্যদিকে, ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ হরতাল-অবরোধ পালনের চেষ্টা করলে সেটি প্রতিহত করা হবে।

এ পরিস্থিতিতে যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে সতর্ক সরকার। রাজনৈতিক বা অন্য কোনো আন্দোলনের নামে কেউ যাতে রাজপথে নেমে জ্বালাও-পোড়াও, ভাঙচুর, বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ, যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা কিংবা অগ্নিসংযোগসহ কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে দেশজুড়ে জোরদার করা হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারিও। ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা নিয়ে মাঠে থাকা সেনাবাহিনীও যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা দমনে সক্রিয় রয়েছে। যদিও অবশ্য বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কিংবা গোয়েন্দাদের কোনো পর্যায় থেকেই আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেওয়া হয়নি। নাম প্রকাশ করে কোনো কর্মকর্তা বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাননি।

তবে ডিএমপির দু'জন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগের দাবিতে একটি রাজনৈতিক দল হরতাল অবরোধের মতো কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দিয়েছে। মাঠে নামার মতো সক্ষমতা না থাকলেও তারা ঝটিকা মিছিল নিয়ে অলিগলি, রাজপথে নেমে আন্দোলনের নামে তান্ডব চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যার কিছু আলামত ইতোমধ্যে পাওয়া গেছে। বিশেষ করে রোববার রাতে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় লিফলেট বিতরণে বাধা দেওয়ায় পুলিশের ওপর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর এবং এক পুলিশ সদস্যকে আটক করে রাখার ঘটনা প্রশাসনকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। তাই ঢাকাসহ সারাদেশে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালালে তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

একই সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে দায়েরকৃত মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে তৎপরতা বাড়িয়েছে পুলিশ। বিশেষ করে আত্মগোপন ছেড়ে যেসব আসামিরা আশপাশের এলাকায় ফিরে 'নতুন ফন্দি'তে সংঘটিত হওয়ার চেষ্টা করছে তাদের গ্রেপ্তারে সাড়াশি অভিযান চালানো হচ্ছে। শিগগিরই এ অভিযান আরও জোরদার করা হবে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তারা।

গোয়েন্দা সূত্রগুলো জানায়, বিদেশে পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগ নেতারা বিশেষ টার্গেট নিয়ে আন্দোলনের নামে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তারা নিজেরা দেশে ফেরার সাহস না পেলেও মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের এ কারসাজিতে উসকে দিয়ে বিপদের মুখে ফেলার ফন্দি এটেছে। এজন্য তারা গোপনে মোটা অংকের অর্থেরও যোগান দিচ্ছে। রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের পাশাপাশি আন্ডারওয়ার্ল্ডের ক্যাডারদের এতে সম্পৃক্ত করার মিশনে মরিয়া হয়ে ওঠার তথ্যও পাওয়া গেছে।

তবে দলীয় নেতাকর্মী বা নন-পলিটিক্যাল ক্যাডাররা কেউই এ ফাঁদে পা দেবে না বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। তাদের ধারণা, চলমান পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক আন্দোলনের নামে রাজপথে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা চালালে শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীই নয়, সাধারণ জনগণও যে তাদের কঠোরভাবে প্রতিহত করবে তা তারা এরইমধ্যে ভালোভাবে টের পেয়ে গেছে। ফলে আন্দোলনের নামে অরাজকতা চালানোর চেষ্টা করে পাছে গ্রেপ্তার কিংবা দেশছাড়া হতে হয় এ আশঙ্কায় তারা পলাতক নেতাদের পাতা রাজনৈতিক কর্মসূচির 'ফাঁদ' এড়িয়ে চলছে।

এদিকে ক্ষমতাচু্যত আওয়ামী লীগের ফেব্রম্নয়ারি জুড়ে হরতাল-অবরোধসহ লাগাতার কর্মসূচির ঘোষণায় শঙ্কার কোনো কারণ দেখছেন না ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। তিনি বলেন, 'ভিডিও বার্তা, মিডিয়ার জগৎ-প্রোগ্রাম দিতেই পারে। নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের অনেক নেতাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তারা যদি এ রকম কোনো প্রচেষ্টা নেয় অবশ্যই পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ মাঠে নামার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে আপাতত আমরা এ রকম কোনো শঙ্কা দেখছি না।'

অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের হরতাল-অবরোধের ঘোষণার বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়েছেন খোদ প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। গুম, খুন ও লুটপাটে জড়িত আওয়ামী লীগের বিচার না হলে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হবে না বলে সাফ জানান দিয়েছেন তিনি।

ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে শফিকুল আলম লিখেছেন, যতক্ষণ না আওয়ামী লীগ ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পরিচালিত গণহত্যা, হত্যাকান্ড এবং প্রকাশ্য দুর্নীতির জন্য ক্ষমা না চাইবে এবং যতক্ষণ না তাদের অন্যায়কারী নেতাকর্মীরা বিচারব্যবস্থার কাছে আত্মসমর্পণ করে তাদের অপরাধের জন্য বিচারকার্যের প্রক্রিয়া শুরু করে পাপমোচন করতে উদ্যোগ না নেবে এবং যতক্ষণ না আওয়ামী লীগ তাদের বর্তমান নেতৃত্ব ও ফ্যাসিবাদী আদর্শ থেকে নিজেকে আলাদা না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের বিক্ষোভ করার অনুমতি দেওয়া হবে না।

এদিকে, আওয়ামী লীগ ঘোষিত হরতাল-অবরোধের কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা না থাকলেও তারা গ্রেপ্তার-হয়রানির শিকার হবে কিনা এ দুশ্চিন্তায় এখন দলের সাধারণ নেতাকর্মীদের অনেকের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। তাদের আশঙ্কা, বিদেশে পালিয়ে গিয়ে আমোদ-ফুর্তিতে থাকা নেতারা তৃণমূলের কর্মীদের আন্দোলন কর্মসূচিতে না পেয়ে সন্ত্রাসীদের কাজে লাগাতে পারে। কিন্তু দিন শেষে এর খেসারত তাদের দিতে হবে। পুলিশ সাড়াশি অভিযানে নামলে অনেক নিরীহ নেতাকর্মী হয়রানির শিকার হবে।

তবে পুলিশের ডিআইজি পদমর্যদার একজন কর্মকর্তার দাবি, আওয়ামী লীগ কিংবা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের সাধারণ নেতাকর্মীদের অহেতুক হয়রানি-নির্যাতনের কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। শুধু রাজনৈতিক কিংবা ভিন্ন কোনো ইসু্যতে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর অবস্থানে থাকবে। এছাড়া নানা উসকানিতে দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলার মিশনে নামা ভয়ংকর ষড়যন্ত্রকারী চক্র এবং এর নেপথ্য মদদদাতাদের বিরুদ্ধে কঠোর 'অ্যাকশনে' নামা হবে।

এদিকে, বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে সরকারের সর্বোচ্চ সতর্ক হওয়ার বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কারও কাছ থেকে সরাসরি কোনো বক্তব্য পাওয়া না গেলেও থানার ওসিরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এ ব্যাপারে নেওয়া কৌশলী ছক গ্রহণের কথা জানিয়েছেন। মামলা ও ওয়ারেন্ট মাথায় নিয়ে ঘুরে বেড়ানো পলিটিক্যাল ক্যাডারদের গ্রেপ্তারে ওপর মহলের জোরালো তাগিদের বিষয়টিও তারা স্বীকার করেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মিরপুর জোনের একটি থানার ওসি (তদন্ত) যায়যায়দিনকে জানান, বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা এরই মধ্যে তারা জোগাড় করেছেন। এদের কার বিরুদ্ধে কতটি মামলা রয়েছে, কোনো মামলায় আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে কি না এবং কে কোথায় অবস্থান করছেন- সে তথ্যও তারা সংগ্রহের চেষ্টা করছেন। ক্যাটাগরিওয়াইজ নেতাদের তিন ভাগে ভাগ করে সে তালিকা প্রতিটি থানার সাব-ইন্সপেক্টরদের মধ্যে বণ্টন করে তা নিয়মিত পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে সরকারের সতর্কতার অংশ হিসেবে থানা পুলিশের সঙ্গে স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি), ডিটেক্টিভ ব্রাঞ্চ (ডিবি) ও ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টসহ (সিআইডি) সার্বিক কার্যক্রম সমন্বয় করবে। প্রয়োজনে এ ব্যাপারে রিজার্ভ ফোর্সের সহায়তাও নেওয়া হবে। এ প্রস্তুতি চূড়ান্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এরই মধ্যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তবে ছাত্র-জনতার গণ-অভু্যত্থানে ক্ষমতাচু্যত হওয়ার ছয় মাস পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ফেরার চেষ্টা এবং এর অংশ হিসেবে সর্বাত্মক 'কঠোর' হরতাল-অবরোধসহ মোট পাঁচ ধরনের কর্মসূচির ঘোষণাকে পাত্তা দিচ্ছে না বিএনপিসহ অন্য রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা। তারা বলছে, অস্তিত্বের জানান দিতেই এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। তবে ১৫ বছরের অপশাসন, গুম, খুন, লুটপাট ও জুলাই গণহত্যার কারণে জনগণের কাছে প্রত্যাখ্যাত আওয়ামী লীগ এত সহজেই হালে পানি পাবে না। তবে তারা বিভিন্ন অলি-গলিতে নেমে হঠাৎ বিক্ষোভ মিছিল বা যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা কিংবা ভাঙচুরের ঘটনাসহ নানা ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাতে পারে। তাই পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও সতর্ক থাকা জরুরি।

এ প্রসঙ্গে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, 'আওয়ামী লীগ বলে দেশে কিছু আছে! এটাই তো এখন বিশ্বাসযোগ্য নয়। দলীয় প্রধানসহ নেতারা পলাতক। তাদের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করাটা একটি বিদ্রম্নপের মতো। তাদের সভানেত্রী, সাধারণ সম্পাদক ও অন্য নেতৃবৃন্দ কোথায় পালিয়েছে সেটাই তো দেশবাসী জানে না। মাঝে মাঝে মাথা বের করে কচ্ছপের মতো শেখ হাসিনা। সেটাও ভারতের মাটিতে বসে। তাদের অফিস এখন পেশাবখানায় রূপান্তরিত হয়েছে। মানুষ কোন অবস্থায় ব্যবহার করে সেটা আমরা বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে দেখছি। এমনকি তাদের যে সব আস্তানা ছিল তা ছেড়ে তারা সবাই পালিয়েছে। সেই অবস্থায় যদি তারা কর্মসূচির নামে তামাশা করে- তা নিয়ে আমাদের মন্তব্য নেই। এমন পরিণতি এই মাটিতে ব্রিটিশ আমলে, পাকিস্তান আমলে কিংবা বাংলাদেশের সময় কখনো হয়নি কোনো রাজনীতি দলের জন্য। এই কর্মসূচি নিখোঁজ আওয়ামী লীগ, নিখোঁজ নেতৃবৃন্দের জন্য, আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। এটা ভয়াবহ এক অভিজ্ঞতা, এজন্য আওয়ামী লীগের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করাটা একটি বিদ্রম্নপের মতো। এ নিয়ে কথা না বলাই ভালো।'

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, 'আওয়ামী লীগ তো গোপনে গোপনে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। প্রকাশ্যে ঘোষণা করার মতো মানুষও ওদের নেই। অস্তিত্বের জানান দিতে তাদের এই কর্মসূচি। যারা প্রকাশ্যে কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারে না তারা কর্মসূচি করবে কীভাবে?'

গণঅধিকার পরিষদের সম্পাদক মো. রাশেদ খান, আওয়ামী লীগ মাঠে নামলে দৌড়ানি খাবে। মাঠে নামলে কেউ ঘরে ফিরতে পারবে না। ছাত্র-জনতা যে বিপস্নবী শক্তি, এই শক্তি তাদেরকে প্রতিহত করবে এবং তাদেরকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হবে।

########

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে