সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ২২ বৈশাখ ১৪৩২

ঢাকা মহানগরে 'অলআউট অ্যাকশনে' যাচ্ছে ডিবি

যাযাদি রিপোর্ট
  ০২ মার্চ ২০২৫, ০০:০০
ঢাকা মহানগরে 'অলআউট অ্যাকশনে' যাচ্ছে ডিবি
ঢাকা মহানগরে 'অলআউট অ্যাকশনে' যাচ্ছে ডিবি

ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে 'অলআউট অ্যাকশনে' যাচ্ছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। ছোট-বড় যে কোনো অপরাধ ও অপরাধীর ক্ষেত্রে 'জিরো টলারেন্স' নীতি অবলম্বন করেছে ডিবি।

ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মলিস্নক শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন। গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের কার্যালয়ে তিনি এসব কথা বলেন। পবিত্র রমজান উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখার উদ্দেশে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, 'রমজানে নগরবাসী যাতে নিরাপদে এবাদত-বন্দেগি করতে পারেন, সেজন্য ডিবির কার্যক্রম আরও বেগবান করা হয়েছে। আমি আত্মবিশ্বাসের সাথে বলতে পারি, নগরবাসী এ সময় অধিকতর নিরাপদ ও স্বস্তির পরিবেশে থাকবেন।'

অলআউট অ্যাকশনকে 'বিশেষ গোয়েন্দা অভিযান' আখ্যা দিয়ে, এর মাধ্যমে 'ছদ্মবেশে অপরাধীদের শনাক্ত' করার কথা বলেছেন গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা।

রেজাউল করিম বলেন, 'রোজার সময় মানুষের কর্মযজ্ঞ বাড়ে। বিশেষ করে টাকা-পয়সার লেনদেন বেশি হয়। শপিংমল, ব্যাংক, বীমাগুলোতে মানুষের ভীড় বাড়ে। রেলস্টেশন, বাসটার্মিনাল কিংবা সদরঘাটসসহ অন্যন্য জায়গাতে মানুষের উপস্থিতি বাড়ে। এসব জায়গায় কেউ যাতে নাশকতা করতে না পারে সেজন্য আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। পাশাপাশি দূরের যাত্রাপথ বিশেষ করে বাসে কোন দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে সে লক্ষ্যে আমরা গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে আমরা আগে থেকেই ডিবির তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াচ্ছি।'

এই গোয়েন্দা কর্মকর্তার ভাষ্য, 'গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির সঙ্গে জড়িতদের বেশিরভাগের বয়স "১৫-২০ এর মধ্যে", যাদের অনেকেই "কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য"। তারা বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। আবার কিছু ফ্যাসিস্ট পতিত রাজনৈতিক শক্তি তাদের ইন্ধন দিয়ে অপরাধ কার্যক্রমে জড়িয়ে দিচ্ছে।'

বিভিন্ন এলাকায় 'চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাহিনীর' বিরুদ্ধে 'অলআউট অ্যাকশনে' যাওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, 'আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যৌথবাহিনী সারাদেশে ৬

\হতৎপরতা বাড়িয়েছে। অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীও মাঠে আছে। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে সেনাবাহিনী। আমরা বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে তাদের সহায়তা করছি, যা ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পাবে। গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্ত থেকে শুরু করে আমরা চিহ্নিত অপরাধীদের গ্রেপ্তারপূর্বক আইনের আওতায় নিয়ে আসতে আমরা বদ্ধপরিকর।'

ঢাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি 'ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে' মন্তব্য করে রেজাউল করিম বলেন, 'আমাদের কাজ হচ্ছে গোয়েন্দা নজরদারি শক্তিশালী করা। আমরা সে বিষয়টিতে গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা আশা করি কিছু দিনের মধ্যে আপনারা আরও ভাল অবস্থান দেখতে পাবেন সে প্রত্যাশা করছি।'

জনসাধারণের প্রতি আহ্বান রেখে তিনি বলেন, 'ডিবি পরিচয়ে কেউ গোপনে তুলে নেওয়া বা সিভিল পোশাকে তলস্নাশি, এ ধরনের কার্যক্রম কেউ করলে আমাদের অবহিত করবেন। পাশাপাশি নাশকতা করতে পারে এমন কোন তথ্য থাকলে ডিবিকে সহায়তা করুন।'

তিনি আরও বলেন, 'ইতোমধ্যে উলেস্নখযোগ্য সংখ্যক ছিনতাইকারী, ডাকাত ও অভ্যাসগত অপরাধীকে আমরা গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা যেমন সাধারণ মানুষের ভরসা, আস্থাস্থল হতে চাই, তেমনি অপরাধীদের জন্য হতে চাই আতঙ্ক। সে মূলনীতি নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। 'ছোট অপরাধ, বড় অপরাধের জন্ম দেয়। তাই যে কোন অপরাধীর ক্ষেত্রে আমরা নিয়েছি জিরো টলারেন্স নীতি। চুরি, ছিনতাই, ডাকাতির বিরুদ্ধে ডিবির নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে।'

ডিবির প্রধানের কথায়, 'চিহ্নিত সন্ত্রাসী হোক বা যে কোন সন্ত্রাসীই হোক, ডিবির জালে তাকে ধরা পড়তেই হবে। সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার ঝুঁকি তৈরি করে এদের আমরা বিন্দুমাত্র ছাড় দিব না।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে