লক্ষ্ণীপুরের রায়পুরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে স্বামী মো. রাশেদকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদন্ড দেন। সোমবার জেলা জজ ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রহিবুল ইসলাম আসামির উপস্থিতি এ রায় দেন। আসামি মো. রাশেদ রায়পুর উপজেলার চরমোহনা ইউনিয়নের দক্ষিণ রায়পুর গ্রামের আলী হায়দারের ছেলে।
জানা যায়, ২০২০ সালে উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী গ্রামের খোকন ছৈয়ালের মেয়ে সুমির সঙ্গে রাশেদের বিয়ে হয়। বিয়ের ছয় মাসের মাথায় ৩ মে দিবাগত রাতে ঘুমের মধ্যে হঠাৎ সুমি মারা যান বলে তার স্বামী রাশেদ শ্বশুরবাড়িতে খবর দেন। পরে ভিকটিমের মা থানায় জানালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় এবং থানায় একটি অপমৃতু্যর মামলা করে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনা তুলে ধরে একই বছরের ৭ জুলাই রায়পুর থানায় মামলা দায়ের করেন নিহতের মা হাজেরা বেগম।
এদিকে পাবনা প্রতিনিধি জানান, পাবনার ঈশ্বরদীর ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক মিঠুন হত্যা মামলায় জবা খাতুন নামের এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার পাবনার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আহসান তারেক এ রায় ঘোষণা করেন।
জানা যায়, ২০১৮ সালের ৪ আগস্ট ঈশ্বরদী উপজেলার শৈলপাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে মিঠুন কাজের উদ্দেশ্যে তার অটোরিকশা নিয়ে বের হয়। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। আট দিন পর ঈশ্বরদীর সুগারক্রপ গবেষণা কেন্দ্রের পাশে জঙ্গল থেকে মিঠুনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা দায়েরের করেন নিহত মিঠুনের পিতা মজিত। পুলিশের তদন্তে জবা ও তার স্বামী সাগরের হত্যায় সম্পৃক্ততা পেয়ে পুলিশ তদন্ত শেষে তাদের অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
Copyright JaiJaiDin ©2022
Design and developed by Orangebd