শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বন্যায় কবরস্থান তলিয়ে যাওয়ায় পাহাড়ি এলাকায় দাফন

ম স্টাফ রিপোর্টার, মৌলভীবাজার
  ০৫ জুলাই ২০২২, ০০:০০

কুশিয়ারা পাড়ের মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার সুনামপুর গ্রামের নজির মিয়া (৭৫) মারা গেছেন রোববার রাত সাড়ে ১২টায়। সাত সন্তানের জনক নজির মিয়া বার্ধক্যজনিত কারণে নিজ গৃহে মারা যান। পরদিন সোমবার দুপুর ২টায় সুনাম্পুরস্থ পাশের হলদিগুল-খেয়াঘাটবাজার-চাঁদনীঘাট সড়কে তার নামাজে জানাজা হয়।

ভাটি এলাকার কুশিয়ারা অঞ্চলের ওই গ্রামে থই থই করছে জল। জানাজার দু'টি জায়গার মধ্যে সুনামপুর জামে মসজিদ ও সুনামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠও জলে একাকার। বাধ্য হয়ে এই সড়কে জানাজা পড়েন গ্রামের মানুষ। স্বজনেরা লাশ কাঁধে বহন করে কুশিয়ারা নদীতে নিয়ে যান। সেখানে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় তুলে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে পাহাড়ি এলাকাস্থ উজানের নয়াটিলায় দাফন করা হয়।

প্রতিবেশীরা জানান, নিজ গ্রাম ছেড়ে ছয় কিলোমিটার দূরে বাবাকে শায়িত করছেন- এমনটা যেন মেনে নিতে পারছেন না সন্তানরা। অকাল বন্যা না হলে হয়তো তারা নিজ গ্রামে বাবাকে কবর দিতে পারতেন। প্রয়াত নজির মিয়ার মতো ভাটি এলাকার আরও বহু গ্রামের মানুষকে নয়াটিলা ও পাশের ময়দান টিলায় শায়িত করা হয়েছে। কুশিয়ারায় এই প্রথম সবচেয়ে বড় বন্যা হয়েছে। বন্যায় নদী পাড়ের মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর উপজেলার প্রায় ৫০টি গ্রাম তলিয়ে নিয়ে গেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে