বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

দামুড়হুদায় পাটের ফলন ভালো হলেও দামে হতাশ কৃষক

ম দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি
  ২০ আগস্ট ২০২২, ০০:০০

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় পাটের ফলন ভালো হলেও বর্তমানে বাজারমূল্য নিয়ে হতাশা প্রকাশ করছেন স্থানীয় চাষিরা।

সরেজমিন দেখা যায়, পাট কাটা, জাগ দেওয়া, পাটকাঠি থেকে পাট ছাড়ানো ও শুকানো নিয়ে কিছুটা ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। তবে বর্ষার ভরপুর মৌসুম হওয়া সত্ত্বেও বৃষ্টির পানি না হওয়ায় দুশ্চিন্তায় চাষিরা। পাটের বীজ বপন থেকে শুরু করে আঁশ ছাড়িয়ে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা পর্যন্ত যে ব্যয় হয়, এতে করে বর্তমান বাজারদরে পাট বিক্রি করলে লোকসানের মুখে পড়তে হবে কৃষকদের। এমনটাই আশঙ্কা করছেন উপজেলার সাধারণ কৃষকরা।

দামুড়হুদা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজামান জানান, চলতি বছর দামুড়হুদা উপজেলায় ৭ হাজার ৬৬৩ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে, যা সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে কম। উপজেলার কয়েকটি এলাকায় আগাম পাটের চাষ করায় ইতোমধ্যে বিক্রি শুরু হয়েছে। অনেকের পাট বিক্রির প্রস্তুতি চলছে। অনেক স্থানে পাটের আঁশ ছাড়ানোতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। তবে এর মধ্যে হঠাৎ করেই গত দুই সপ্তাহ ধরে পাটের বাজার মূল্য কিছুটা কমে যাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন কৃষকরা। পাটের ফলন মৌসুমের শুরু থেকে বাজারে দাম ছিল মণপ্রতি তিন হাজার টাকা।

স্থানীয় কৃষক মো. জালাল জানান, পাট ঘরে তুলতে যে খরচ হয়, এতে করে বর্তমান দাম অনুযায়ী, বিক্রি করলে খুব একটা লাভ আসে না। কষ্টটাই বৃথা যায়। বাজারে দাম কমে গেলে তাদের মতো কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়বে।

দামুড়হুদার উপজেলার বিভিন্ন হাট ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকদের একটা অংশ পাট বিক্রি করছেন। তারা জানিয়েছেন, টাকা খরচ করে আবাদ করেছেন। পাট বিক্রি করে প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাজ করবেন। কেউ ঋণ করেছেন। এসব চাহিদা মেটানো এবং আগামী ফসলের জন্য জমি প্রস্তুত করতে পাট বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের।

উপজেলার অনেক স্থানেই পাট তুলে জমিতে ধানের চাষ শুরু করে দিয়েছেন কৃষকরা। উঁচু স্থানের জমির পাট কেটে জাগ দেওয়া এবং আঁশ ছাড়ানোর কাজ চলছে।

উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা বাজারের পাট ব্যবসায়ী আমির হোসেন ও আশরাফুল আলম আশা জানান, গত সপ্তাহ থেকে পাটের দাম কমতে শুরু করেছে। আগে যে পাট তিন হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে, এখন সেই পাট দুই হাজার ৪০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। বাজারে চাহিদা অনুযায়ী মনে হচ্ছে, দাম আরও কমতে পারে।

দামুড়হুদা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজামান জানান, এই উপজেলার আবহাওয়া পাট চাষের জন্য যথেষ্ট উপযোগী। তারা কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। বাজারে পাটের দাম ঠিক থাকলেই কৃষকদের সন্তুষ্টি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে