বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পায়রা বন্দরের ক্যাপিটাল ড্রেজিং প্রকল্পের কাজ শেষ

কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
  ২৭ মার্চ ২০২৩, ০০:০০
পটুয়াখালীর পায়রা বন্দরের খননকৃত চ্যানেল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মহিব্বুর রহমান মহিব ও বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল -যাযাদি

দীর্ঘ প্রতিক্ষার পরে শেষ হলো পটুয়াখালীর পায়রা বন্দরের ক্যাপিটাল ড্রেজিং প্রকল্পের কাজ। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে বেলজিয়ামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বন্দরের কাছে খননকৃত চ্যানেল আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেছেন। এবারের স্বাধীনতা দিবসে পায়রা বন্দরের এটি একটি বড় অর্জন বলে দাবি করেন বন্দর কর্তৃপক্ষ।

তাদের দাবি, ড্রেজিংয়ের ফলে ১০ দশমিক ৫ মিটার গভীরতার চ্যানেল সৃষ্টি হয়েছে। যা দেশের অন্যসব বন্দরের থেকে বেশি গভীর। এতে লাইটার জাহাজের সাহায্য ছাড়াই বন্দরের ঘাটে সরাসরি পণ্য খালাস করতে পারবে মাদার ভ্যাসেলগুলো।

পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল জানান, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে শুরু হয় পায়রা বন্দরের ক্যাপিটাল ড্রেজিং। টানা দুই বছর ড্রেজিং চলার পর শেষ হচ্ছে সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্পের কাজ। স্বাধীনতা দিবসে বেলজিয়ামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান 'জান ডি নুল' ড্রেজিংকৃত রামনাবাদ চ্যানেল হস্তান্তর করেছে বন্দরের কাছে। ড্রেজিংয়ের ফলে ১০ দশমিক ৫ মিটার গভীরতার একটির চ্যানেল সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ৪০ হাজার ডেডওয়েট টন কার্গো বা তিন হাজার কন্টেইনারবাহী জাহাজ চলাচল করতে পারবে।

চেয়ারম্যান আরও জানান, ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের কাজ শেষে হলেও চ্যানেলের নাব্য ধরে রাখতে মেইনটেনেন্স ড্রেজিংয়ের কাজ চলমান থাকবে। যা ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত চলবে।

পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মহিব্বুর রহমান মহিব বলেন, পায়রা বন্দর ঘিরে দক্ষিণাঞ্চলে উন্নয়নের মহাকর্মযজ্ঞ চলছে। পায়রা বন্দর আজ বাস্তবে রূপ নিয়েছে। এটা আমাদের জন্য বড় পাওয়া। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। কোন বাধা বিপত্তিই পায়রা বন্দরকে দাবিয়ে রাখতে পারেনি। বন্দরটি দেশের অর্থনীতিতে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে দক্ষিণাঞ্চলবাসীর পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

স্কিম পরিচালক কমডোর রাজীব ত্রিপুরা বলেন, প্রথম জেটির কাজ শেষ হলেই আগামী মে মাসে বন্দরের পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের তৃতীয় এই সমুদ্র বন্দর পুরোপুরি চালু হলে দক্ষিণাঞ্চলসহ সমগ্র দেশের অর্থনীতিতে আমূল পরিবর্তন আসবে। ইতোমধ্যে বিদেশি অনেকগুলো কোম্পানি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে