আজকের যায়যায়দিন

'উত্তরবঙ্গের অর্থনীতির চালিকাশক্তি হবে এই কুড়িগ্রাম' বলে মন্তব্য করেছেন নৌ-পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, 'আগামী দিন উত্তরবঙ্গের পকেট হচ্ছে লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম।'

বুধবার দুপুরে চিলমারী নদীবন্দরে চিলমারী-রৌমারী নদীপথে ফেরি সার্ভিস উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, চিলমারী নদীবন্দর চালুর আগেই বুড়িমারী পর্যন্ত রেললাইনের উন্নয়ন করা হবে। রেলকে ব্রডগেজ ও মিটারগেজ করা হবে। বন্দরকে ঘিরে সড়কপথ ফোরলেন করা হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ যখন যেটা বলেছে, সেটা করেছে। দেশ ও দেশের মানুষের জন্য আওয়ামী লীগের কথা কখনো পাল্টায় না। রৌমারী থেকে চিলমারী পর্যন্ত ব্রিজ হবে। ব্রিজ নিয়ে ইতোমধ্যে স্টাডি হয়েছে, আওয়ামী লীগ ছাড়া এ ব্রিজ কেউ করতে পারবে না।

অনুষ্ঠানে বিআইডবিস্নউটিসির চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহম্মেদ মোস্তফার সভাপতিত্বে কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, বিআইডবিস্নউটিসি'র চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) এসএম ফেরদৌস আলম, বিআইডবিস্নউটিএ'র সদস্য প্রকৌশলী যুগ্ম সচিব একে এম ডক্টর আজাদুর রহমান, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. সাইদুল আরিফ, পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল আলম, বিআইডবিস্নউটিএ'র পরিচালক (নৌ স.প) শাহজাহান, পরিচালক (বওপ) সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ড্রেজিং) ছাইদুর হোসেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি রেজওয়ানুল হক শোভন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এর আগে নৌ-পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বন্দর উন্নয়নের ফলক উন্মোচন করেন।

বিআইডবিস্নউটিএ'র তথ্যমতে, চিলমারী-রৌমারী নৌপথের দৈর্ঘ্য ২১ কিলোমিটার। তবে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে এ পথের দৈর্ঘ্য ১৩-১৪ কিলোমিটারে নামিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।

আতঙ্কে স্থানীয়রা / ডিমলা ও সৈয়দপুরে হুমকির মুখে শহর রক্ষা বাঁধ

ফেরি সার্ভিস চালু হলে চিলমারী-রৌমারী-রাজীবপুর নয়, কুড়িগ্রামের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ অনেক সহজ হবে। যাতায়াত খরচও কমে যাবে।