মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ

নরসিংদীতে পরীক্ষা দেওয়া হলো না প্রতারণার শিকার ৬ শিক্ষার্থীর

নরসিংদী প্রতিনিধি
  ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
নরসিংদীতে পরীক্ষা দেওয়া হলো না প্রতারণার শিকার ৬ শিক্ষার্থীর

নরসিংদীতে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার প্রলোভন দেখিয়ে ৬ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তবে টাকা নিয়েও শেষ পর্যন্ত তাদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ করে দিতে পারেননি আমিনুল ইসলাম নামে ওই শিক্ষক। তিনি নরসিংদী ডিজিটাল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ৬ জন শিক্ষার্থীকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের প্রতিশ্রম্নতি দিয়ে মোটা অংকের টাকা নিয়েছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য প্রবেশপত্র দিতে পারেনি। এতে পরীক্ষায় অংশ নিতে না পেরে পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে এই ৬ শিক্ষার্থী। তারা হলো- চাঁদনী আক্তার, অর্পিতা সূত্রধর, জান্নাতুল ফেরদৌস, মেঘলা আক্তার, সুমাইয়া আক্তার জয়া এবং তৈয়বা আক্তার। এদের মধ্যে তৈয়বা আক্তর নরসিংদী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং বাকি ৫ জন ব্রাহ্মন্দী গালস হাই স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী।

অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা জানান, তারা নিজ নিজ স্কুল থেকে টেস্ট বা নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি। পরে তারা নরসিংদী ডিজিটাল গালর্স হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করে। আমিনুল ইসলাম তাদের সঙ্গে ২৫ হাজার টাকা করে জনপ্রতি কন্টাক করেন। এরপর এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করে দেবেন বলে অঙ্গীকার করেন। শিক্ষার্থীরা কন্টাক অনুযায়ী ২৫ হাজার করে টাকা দেয়। আমিনুল ইসলাম এই পরীক্ষার্থীদের নির্ধারিত সময়ে কেন্দ্রে হাজির থাকার কথা বলেন। কথামতো তারা রায়পুরা উপজেলার হাসনাবাদ উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের উপকেন্দ্র বালুয়াকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ে সব প্রস্তুতি নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে পরীক্ষা দিতে যায়। কিন্তু নির্ধারিত সময় পরও প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম পরীক্ষা কেন্দ্রে হাজির হননি এবং তাদের কোনো প্রবেশপত্রও দিতে পারেননি। এতে তারা কান্নায় ভেঙে পড়ে এবং পরে তারা সেখান থেকে ফিরে নরসিংদী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অবস্থান নেয়। পরীক্ষায় অংশ নেয়ার পাশাপাশি প্রতারক শিক্ষকের বিচার দাবি করে তারা। এ ব্যাপারে নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মুশফিকুর রহমান জানান, 'আমরা শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের কাছ থেকে এ ধরনের অভিযোগ পেয়েছি। আমরা এ অভিযোগ তদন্ত করে অভিযুক্ত শিক্ষক আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে