শেরপুর এলাকার বন্যা পরবর্তী দুই মাস পেরিয়ে গেলেও তিনআনী-নালিতাবাড়ী আঞ্চলিক সড়কে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার রাস্তাঘাট, কালভাট-সেতু মেরামত করার এখনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এই সড়কটিতে এখনো যান চলাচল বন্ধ। প্রাই দুই কিলোমিটারজুড়ে আঞ্চলিক সড়কটি ভেঙে ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়েছে। এলাকায় স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে ব্রিজ বা কালভার্টের ওপর বাশের সাঁকো নির্মাণ করেছেন। সাঁকো দিয়ে মানুষ যাতায়াত করতে পারলেও যাতায়াত করতে পারছে না কোনো যান।
অনেক ক্ষেত্রে বাঁশের সাঁকো দুর্বল হওয়ায় প্রয়োজনের তাগিদে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছেন স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ। তাই অনেক ঝুঁকি নিয়ে চলাচলে নিজেকে গুটিয়ে রেখে অতিরিক্ত রাস্তা বেশি পারি দিতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে শেরপুর সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাকিরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কিছু সড়ক এখন চলাচলের উপযোগী নয়। এসব সড়কের যেসব জায়গায় বেশি ভেঙে গেছে সেগুলো খুব দ্রম্নত মেরামত শুরু করা হবে।
সবমিলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট, কালভার্ট-সেতু থেকে শুরু করে অবকাঠামোগত সংস্কার না হওয়ায় শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার বন্যা কবলিত বিভিন্ন রাস্তার মধ্য শেরপুর (সড়ক ও জনপথ) বনগাঁও আঞ্চলিক সড়কটি কিছু অংশ প্রাথমিক সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। মো. আব্দুর রহমান (৫৫) বলেন তিনানীবাজার হয়ে টেংরাখালী বনগাঁও সড়কের এলাকার মানুষেরা এখনো সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছেন। রাস্তাটি পুনঃসংস্কার না হলেও প্রাথমিক কিছু সংস্কার করে যান চলাচলের ব্যবস্থা গ্রহণে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেছেন।