খুলনার ডুমুরিয়ায় স্কুল ছাত্র স্বাধীন আত্মহত্যার হয়রানীমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ডুমুরিয়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে মুক্তা বেগম নামে এক গৃহবধূ এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
লিখিত বক্তব্যে মুক্তা বেগম বলেন, 'শাহপুর বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র স্বাধীন সরদার ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া আমার মেয়েকে বিভিন্ন সময় উত্যক্ত করত। যার কারণে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে আমার মেয়ে। বিষয়টি স্বাধীনের পরিবারকে জানানো হলে তারা স্বাধীনকে ঘরে তালা দিয়ে আটকে রাখে। একপর্যায়ে গত ২২ ডিসেম্বর নিজ বাড়িতে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে স্বাধীন। এ ঘটনায় ডুমুরিয়া থানায় অপমৃতু্য মামলা হয়। এ দিকে স্বাধীনের মা রেক্সনা বেগম বাদী হয়ে গত ২৫ ডিসেম্বর ডুমুরিয়া থানায় আত্মহত্যা প্ররোচনামূলক মামলা করেন। মামলায় আমার স্বামী সেলিম গাজীসহ আমার ভাই রায়হান সরদার ওরফে টিটু ও শামীম সরদারকে আসামি করা হয়। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ছাড়াই হয়রানীমূলক ওই মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।'
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিউলী বেগম, জহির সরদার, সাজেদ গাজী, নাসির গাজী, রুবিনা বেগম, মনিরুল সরদার, রিক্তা বেগম প্রমুখ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শেখ মো. জাকির হোসেন জানান, স্বাধীনকে গলায় রশি দিয়ে ঝুলান্ত অবসস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃতু্য এবং একটি আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা হয়েছে। মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।