শনিবার, ৩১ মে ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

পোরশার বাজারে জমে উঠেছে শীতের পিঠার ব্যবসা

পোরশা (নওগাঁ) প্রতিনিধি
  ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
পোরশার বাজারে জমে উঠেছে শীতের পিঠার ব্যবসা

চলছে পৌষের হাঁড় কাঁপানো শীত। কনকনে হাঁড়কাঁপানো এ শীতে চারিদিকে দিন-রাত্রি যখন ঘনকুয়াশায় ঢাকা, তখন নওগাঁর পোরশা উপজেলার বিভিন্ন বাজারে চলছে শীতের পিঠা বিক্রির ধুম। শীতের মধ্যে স্থানীয়রা এসব পিঠা ১৫ থেকে ৫০ টাকা দামে কিনে খাচ্ছেন। এতে যেন ফুরসত নেই, সেই পিঠা বিক্রেতাদের।

সূর্য্যি মামাকে মেঘ ঢেকে রাখার কারণে সারাদিনই রয়েছে সকালের আমেজ। আর এই আমেজে ছোট-বড় সবাই যেন মেতে উঠেছে গ্রামীন বাজারের ভাপা পিঠায়। এ ছাড়া উপজেলার গ্রাম গুলির বাড়িতে-বাড়িতে চলছে সকাল-সন্ধায় ভাপা পিঠা, পুলি পিঠাসহ বিভিন্ন পিঠার সমারোহ। সব মিলিয়ে যেন উৎসবের গ্রামীন এ বরেন্দ্র জনপথ।

1

বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পিঠার কারিগররা ভাপা পিঠা, চিতইপিঠা আর মাসকালাইয়ের রুটি তৈরি এবং বিক্রিতে ব্যস্ত। সরাইগাছি মোড়ের ভাপা পিঠা বিক্রেতা কাওছার সিদ্দিকি ও মাসকালাই রুটি বিক্রেতা একরামুল জানান, প্রতিদিনই তারা ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকার পিঠা বিক্রি করেন। প্রতিদিন সকাল থেকে ১০টা এবং বিকাল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এসব ব্যবসা চলে। এতে তাদের সংসারও চলে ভাল। অনেকে পরিবারের জন্য তাদের তৈরি পিঠা কিনে নিয়ে যান বলে জানান তারা। দীর্ঘদিন থেকে তারা পিঠা-পুলির এ ব্যবসা করে আসছেন। সামাজিকভাবে বিভিন্ন কাজের পাশাপাশি তারা এ পেশা ধরে রেখেছেন বলে জানান।

কম খরচে ভালো লাভের আশায় তারা এ ব্যবসা করছেন এবং শীতের এ মৌসুমে তাদের এ ব্যবসায় বেশ ভাল আয় হয় বলেও তারা জানান।

এ সময় কথা হয় নিতপুর বাংগাল পাড়ার বাসিন্দা আমির উদ্দিন বাবু ও কামরুজ্জামান সরকার বাবুর সঙ্গে। তারা জানান, শীতে ভাপা পিঠা, পুলি পিঠাসহ বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি পোরশা উপজেলার একটি পুরোনো ঐতিহ্য। এ সময় তারা নিজ মেয়ে-জামাই এবং অনেক আত্নীয় স্বজনকে নিমন্ত্রণ করে নিয়ে এসে শীতের পিঠা-পুলি খাওয়ার উৎসবে মেতে ওঠে। তাছাড়া শীতে বাড়িতে তৈরী পিঠা খেতে অনেক মজা। সব মিলিয়ে প্রতিবছর শীতে বরেন্দ্র খ্যাত এ জনপদের বিভিন্ন বাজার, মোড় ও গ্রামে-গ্রামে স্থানীয়রা পিঠা-পুলি খেতে মেতে ওঠেন বলে অনেকে বলছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে