সরকার পরিবর্তনের পর গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়েছে। অভিযানে হাতে নাতে বালু তোলার সময় ২০টি বালু তোলার অবৈধ ড্রেজার, ৩০টি বালু বহনকারী বাল্কহেড, ২টি ইঞ্জিন চালিত নৌকা ও ২টি স্পীড বোট জব্দ করা হয়। এ সব ড্রেজার ও বাল্কহেডে থাকা ১৪০জন নাবিক শ্রমিককে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
গত মঙ্গলবার চাঁদপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন আয়োজিত জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের এক মতবিনিময় সভায় এটি নিশ্চিত করেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মহসীন উদ্দিন।
তিনি জানান, বিগত সরকারের সময় চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে একটি চক্র যেভাবে অবৈধভাবে বালু তুলেছে এতে করে নদীর গতিপথ ও ইলিশসহ মৎস্য সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখন আবারও একটি চক্র ২০০৭ সালের বালু উত্তোলনের অনুমোদনের চিঠি দেখিয়ে চাঁদপুরের মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলনের পায়তারা করছেন। কিন্তু আমরা প্রশাসন থেকে তার কোনো অনুমোদন দিচ্ছি না।
তি আরও বলেন, 'বেশ অনেকদিন চাঁদপুরের পদ্মা মেঘনা নদীতে বালু তোলা বন্ধ ছিল। কিন্তু গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে একটি অদৃশ্য মহল কৌশলে নদীতে সুযোগ পেলেই বালু তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তুজেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। চাঁদপুরের নদী এলাকার কোথাও কেউ বালু তুলছে খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করছি।'
এদিকে বিআইডাবিস্নইটএর অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত সেপ্টেম্বর মাসের শুরু থেকে একটি রাজনৈতিক মহল জেলা প্রশাসন ও বিআইডাবিস্নউটিএর কার্যালয়ে বালু তোলার অনুমোদনের জন্য অনেক ঘুরাঘুরি করেন। কিন্তু তাদের বালু তোলার কোনো অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এরপর থেকেই একটি মহল মেঘনা নদীর কোথাও কোথও বালু তুলছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
চাঁদপুর বিআইডাবিস্নউটিএর উপ পরিচালক বছির আলী খান বলেন, 'আমি চাঁদপুরসহ আশেপাশের ৬ জেলার নদীর দায়িত্বে রয়েছি। নদীর নাব্য সংকটে কোথাও বালি তোলার প্রয়োজন হলে সেটা আমাদের হাইড্রোগ্রাফি বিভাগ আছে।
তারা সার্ভে করে আমাদের জানালে নিজস্ব উন্নতমানের বালু খনন যন্ত্র দিয়ে বালু তুলে থাকি। এছাড়া আমরা অন্য কাউকে কোথাও বালু তোলার অনুমোদন দেইনি।'