গত দুইদিন ধরে মৃদু্য শৈত্য প্রবাহের কবলে পড়েছে দেশ। হাঁড় কাঁপানো শীতে জবুথবু জনজীবন। সূর্যের দেখা মিললেও উত্তাপ কম। এদিকে, নারায়নগঞ্জের আড়াইহাজারে আগুন জ্বেলে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন শীতার্তরা। আঞ্চলিক স্টাফ রিপোর্টার ও প্রতিনিধির পাঠানো তথ্যে বিস্তারিত ডেস্ক রিপোর্ট-
স্টাফ রিপোরর্টার, চুয়াডাঙ্গা জানান, আবারও মৃদু্য শৈত্য প্রবাহের কবলে দক্ষিন-পশ্চিমের জেলা চুয়াডাঙ্গা। হাড় কাঁপানো শীতে জুবুথুবু জনজীবন। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে সকাল ছয়টায় এ জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে, তীব্র শীতে কষ্টে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। সকাল থেকে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এ অঞ্চলে। তবে সকালে সুর্য উঠছে। একটু রোদের উত্তাপও ছড়াচ্ছে। তবে উত্তরের শীতল বাতাস শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। সকালে তীব্র শীত সঙ্গে উত্তরের হিমেল হাওয়া। কাবু করে দিচ্ছে মানুষ ও প্রাণীকুলকে। গায়ে গরম কাপড় জড়িয়ে কাঁপতে কাঁপতে জীবন-জীবিকার তাগিদে বাইরে বের হচ্ছেন খেটে খাওয়া খাওয়া মানুষ।
চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগার কেন্দ্রের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, চলতি জানুয়ারি মাসজুড়ে তাপমাত্রা এ রকম থাকতে পারে। উত্তরের হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমেল বাতাসে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাবে। কর্কট ক্রান্তি রেখা বরাবর চুয়াডাঙ্গার অবস্থান হওয়ায় শীত মওসুমে প্রায় দিনই দেশের সর্বনিন্ম তাপমাত্রা বিরাজ করে চুয়াডাঙ্গায়।
এদিকে, আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে জবুথবু লোকজন। সকাল ১০টার পর সূর্যের দেখা মিললেও উত্তাপ কম। রাতে ও ভোরে শীত নিবারণের জন্য আগুন জ্বেলে উত্তাপ নিচ্ছেন শীতার্তরা।
গত দুই-তিন দিন যাবত এমনই অবস্থা বিরাজ করছে নারায়ণগঞ্জের আড়াই-হাজারে। শীতের তীব্রতার কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। গত দু তিন দিন ধরেই ঘন কুয়াশা আর প্রচন্ড শীতে কাঁপছে উপজেলাবাসী। ঘন কুয়াশার কারণে মুরগীর খামারগুলোতে দিনেও বৈদু্যতিক বাতি জ্বালিয়ে মুরগী ও বাচ্চাগুলোকে তাপ দিতে হচ্ছে। সকালে গাড়ি চালকদের পথ ও দিক চিনতে কষ্ট হচ্ছে। প্রচন্ড শীতের কারণে বাজারের দোকানপাট খুলতে বিলম্বিত হচ্ছে। শীতে পৌর সদরে লোকজনের যাতায়াতও কমে গেছে। শীতের তীব্রতায় বৃদ্ধ এবং শিশুদের ঠান্ডাজনিত নানা রোগ বাড়ছে।
আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মোশারফ হোসেন জানান, শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় শিশুদের ঠান্ডাজনিত সমস্যা বেড়ে গেছে। প্রতিদিন বহির্বিভাগে রোগীর লাইন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। এমতাবস্থায় শিশু ও বৃদ্ধদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিশেষভাবে খেয়াল রাখার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।