কুড়িগ্রামের চিলমারীতে প্রায় ৫ বছর ধরে ভাসমান দুটি বার্জ ডিপো তেলশূণ্য অলস পড়ে থাকায় এটি স্থায়ীকরণের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রংপুর বিভাগ ট্যাংলড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের ব্যানারে বৃহষ্পতিবার দুপুরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে শ্রমিকরা ছাড়াও সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন।
মানববন্ধন শেষে চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করে সংগঠনটি।
উপজেলা পরিষদের সামনে ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন রংপুর বিভাগ ট্যাংক-লরি শ্রমিক ইউনিয়ন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রিয়াজুল হক সরদার, সহ-সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, চিলমারী প্রেস ক্লাব সভাপতি নজরুল ইসলাম সাবু প্রমুখ।
বক্তারা জানান, প্রায় ৫ বছর ধরে ডিজেল আসছে না বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) আওতায় থাকা ব্রহ্মপুত্র নদে ভাসমান দুটি তেল ডিপোতে। এতে করে সড়ক পথে পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বেশি দামে ডিজেল কিনে জমিতে সেচ দিতে হচ্ছে চরাঞ্চলসহ জেলার কৃষকদের।
বক্তারা আরও জানান, ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীরে পানিতে ভেসে আছে যমুনা ও মেঘনা নামের দুটি বার্জ ডিপো। কিন্তু নেই তেল, নেই কর্মচাঞ্চল্যতা। অথচ আগে এই দুটি ডিপো থেকে বোরো মৌসুমে প্রায় ২৫ লাখ লিটার ও অন্য সময়ে গড়ে ১০ লাখ লিটার ডিজেল সরবরাহ করা হত।
উলেস্নখ্য, কুড়িগ্রাম জেলা তথা উত্তারাঞ্চলের কৃষকদের মধ্যে নদী পথে কম খরচে ডিজেল সরবরাহের জন্য ১৯৮৯ সালে চিলমারী উপজেলার নদী বন্দর এলাকায় এ বার্জ ডিপো দুটি স্থাপন করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন।
স্থাপনের পর থেকে ডিলারদের মাধ্যমে কৃষকদের কাছে ডিজেল সরবরাহ করে আসলেও নদের নাব্য সংকটের অজুহাতে ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে তেল সরবরাহ বন্ধ করে দেয় সংশ্লিষ্ট দপ্তর। তারপর থেকে ডিপো দুটিতে একবারের জন্যও আসেনি তেল।