চট্টগ্রামের রাউজানে সরকারিভাবে কৃষকদের জন্য বরাদ্দ পাওয়া লাখ লাখ টাকার আধুনিক যন্ত্রপাতি মাটিতে ফেলে রেখে স্ক্যপে পরিণত করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এসব আধুনিক যান্ত্রিক সরঞ্জাম উন্নত প্রযুক্তিতে চাষাবাদের জন্য রাউজানের কৃষকদের সরকারিভাবে দেওয়া হয়েছিল উপজেলা কৃষি বিভাগকে। সম্পূর্ণ রহস্যজনক কারণে এসব যান্ত্রিক সরঞ্জাম বছরের পর বছর রাখা ছিল লোকচক্ষুর অন্তরালে খোলা আকাশের নিচে উপজেলা সদরের ফকিরহাটের ভেতর কৃষি বিভাগের পরিত্যক্ত একটি জায়গায়। কৃষকদের টেনিং সেন্টার হিসাবে ব্যবহারের পর থেকে ওই পরিত্যক্ত জায়গাটি মানুষের নজরে আসে।

ওই টেনিং সেন্টারটি সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, পুরানো একটি পাকা গুদামের ছাদের ওপর ঝোপঝাড়ে ভর্তি। সঙ্গে রয়েছে টিনের ছাউনিযুক্ত বড় খোলা টিন সেট। এই গুদামের সামনে খোলা আকাশের নিচে ও বারান্দায় পড়ে রয়েছে নষ্ট হয়ে থাকা লাখ লাখ টাকার কৃষি যন্ত্রপাতি। স্ক্যাপে পরিণত হয়ে থাকা এসব কৃষি যন্ত্রপাতির মধ্যে রয়েছে পাওয়ার টিলার, ধান মাড়াই মেশিনসহ অন্তত আট শ্রেণির যন্ত্র। গত দুই বছর ধরে ওই টেনিং সেন্টারে যাওয়া আসায় থাকা স্থানীয় কৃষকরা নষ্ট হয়ে পড়ে থাকা এসব যান্ত্রিক সরঞ্জাম দেখে ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, 'সরকারের বরাদ্দ দেওয়া এসব আধুনিক যন্ত্রপাতি নিরাপদে সংরক্ষণের মত এখানে পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে। তারপরও কেন এগুলো বছরের পর বছর বাইরে ফেলে রেখে নষ্ট করা হয়েছে, কেনইবা কৃষকদের দেওয়া হয়নি তা তদন্ত করে দেখা উচিত।' কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন কিছু যান্ত্রিক সরঞ্জাম মেরামত করে সচল করা সম্ভব। যেসব যন্ত্র মেরামতযোগ্য সেগুলো শর্ত সাপেক্ষে ব্যবহারের জন্য কৃষকদের দেওয়া যেতে পারে।'

কৃষক মোহাম্মদ ইসমাইল অভিযোগ করেছেন, তিনি কৃষি কর্মকর্তার কাছে পরিত্যক্ত হয়ে থাকা একটি পাওয়ার টিলার নিজ খরচে ব্যবহার উপযোগি করে শর্ত সাপেক্ষ পেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কৃষি কর্মকর্তারা নানা অজুহাতে এসব যন্ত্রপাতি দিচ্ছেন না।

সেচ সংকটে তাহিরপুরের ২৩ হাওড়ের ইরি বোরো ফসল

লাখ লাখ টাকা কৃষি সরঞ্জাম নষ্ট হয়ে পড়ে থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুম কবির বলেন এগুলো অনেক আগে থেকে পড়ে আছে। কেন সেসব যন্ত্রপাতি কৃষকদের বরাদ্দ দেয়া হয়নি সে ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। মেরামত যোগ্য পওয়ার টিলাসহ যন্ত্রপাতি ব্যবহারের জন্য কৃষকদের চাষাবাদের জন্য শর্ত সাপেক্ষে কেন দেওয়া হচ্ছে না এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন এ ব্যাপারে তাদের বিভাগীর প্রধানের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত চাইতে হবে। এরবাইরে তিনি কিছু করতে পারবেন না।