মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

লক্ষাধিক মানুষের ভরসা বাঁশের সাঁকো

সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
  ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
লক্ষাধিক মানুষের ভরসা বাঁশের সাঁকো
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের ছেত্রা নদীর দুই পাড়ের লক্ষাধিক মানুষের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো -যাযাদি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের ছেত্রা নদীর দুই পাড়ের ২০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষের আসা-যাওয়া করে থাকে। একটি সেতুর আশা কেটে গেল ৫০ বছর। একটি সেতুর জন্য জনপ্রতিনিধি বারবার আশ্বাস দিয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত তা বাস্তবায়িত হয়নি।

ফলে নদীর ওপর সাড়ে হাজারো ফুট লম্বা ও ১০ ফুট প্রশস্ত বাঁশের সাঁকো দিয়ে দুই পাড়ের মানুষ শুষ্ক মৌসুমে চলাচল করলেও বর্ষা মৌসুমে তাদের দুর্ভোগের কোনো সীমা থাকে না। ফলে শিক্ষা, কৃষিসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। এলাকার মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে প্রায় ৩০ বছর আগে গ্রামবাসীর নিজস্ব অর্থায়নে ছেত্রা নদীর ওপর অরুয়াইল-পাকশিমুল সংযোগ বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়।

1

বছরের কার্তিক মাস থেকে শুরু হয়ে জৈষ্ঠ্য মাস পর্যন্ত আট মাস গ্রামবাসীকে এ সাঁকো দিয়ে শতাধিক মোটরবাইক ও অর্ধশত অটোরিকশা চলাচল করে।

এলাকার ভুক্তভোগী বাসিন্দারা জানান, অরুয়াইল ও পাকশিমুল ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব ও বাজিতপুর উপজেলার কয়েকটি গ্রামের মানুষও ব্যবহার করেন এই সাঁকো। স্বাধীনতার পর থেকেই চেত্রা নদী পারাপারে নৌকা ব্যবহার করেন অরুয়াইল ও পাকশিমুল ইউনিয়নের বাসিন্দারা। কিন্তু নৌকায় নদী পাড়ি দিতে গিয়ে বিভিন্ন সময় দুর্ঘাটনা ঘটে। আরও জানান, অন্তঃসত্ত্বা নারীদের জন্য এই বাঁশের সাঁকোটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। অনেক সময় প্রত্যন্ত গ্রামের নারীদের প্রসব বেদনা শুরু হলে এই সাঁকোর ওপর দিয়ে হেঁটে নিয়ে যেতে হয়। এ নদীর ওপর সেতুটি করে দিলে আমাদের চলাচলের অনেক উপকার হবে। জনপ্রতিনিধিরা সেতু করে দেয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করে আমাদের ভোট নেয়।

অরুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন বলেন, বাঁশের সাঁকো দিয়ে দুটি ইউনিয়নের ২০ গ্রামের মানুষ আসা যাওয়া করে। অনেক বার উদ্যোগ নিয়েছি। কিন্তু এখনও আলোর মুখ দেখেনি। এই অরুয়াইল ইউনিয়নের অরুয়াইল, রাজাপুর, কাকুরিয়া, রানিদিয়া, বড়ইছাড়া, পরমানন্দপুর, ষাটবাড়িয়াসহ অন্তত ২০ গ্রামের মানুষ এই সাঁকো ব্যবহার করেন। বর্ষা মৌসুমে ঝড় তুফানে এই সাঁকো ভেঙে যায়। ফলে শিক্ষার্থীরা সঠিক সময়ে স্কুলে যেতে পারে না।

সরাইল উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী মো. আনিসুল ইসলাম জানান, ছেত্রানদীর ব্রিজটি একটি প্রকল্পের অধীনে নেয়া হয়েছে। প্রকল্পের পরিচালক ব্রিজটি পরিদর্শন করে গিয়াছে। এর আগে যে সার্ভে হয়েছিল। ইতোমধ্যে সবাই ধরনের একটি সার্ভে হয়েছে। ব্রিজে কাজ খুব দ্রম্নত শুরু হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে