বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

শ্রীমঙ্গলে ঐতিহাসিক 'হারমোনি ফেস্টিভ্যাল' সমাপ্ত

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
  ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
শ্রীমঙ্গলে ঐতিহাসিক 'হারমোনি ফেস্টিভ্যাল' সমাপ্ত
শ্রীমঙ্গলে ঐতিহাসিক 'হারমোনি ফেস্টিভ্যাল' সমাপ্ত

মৌলভীবাজরের শ্রীমঙ্গলে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত নৃগোষ্ঠীদের নিয়ে ঐতিহাসিক 'হারমোনি ফেস্টিভ্যাল' সমাপ্ত হয়েছে। শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জের ২৬টিরও বেশি নৃগোষ্ঠীদের জীবন ও সংস্কৃতির মেলবন্ধন ছিল একই মঞ্চে। ছিল পর্যটক ও স্থানীয়দের উপচেপড়া ভিড়। কানায় কানায় পুর্নছিল মেলা প্রাঙ্গন, এ যেন এক সম্প্রীতির মিলন মেলা। উৎসবের শেষদিন চা-জনগোষ্ঠীর মুন্ডা অধিবাসীর মুন্ডারী নৃত্য, এরপর দুপুরে বুনার্জীদের উড়িয়া ভজন, গড়াইত নৃত্য, রাজবল্ববদের উড়িয়া নৃত্য, শবরদের পত্র সওরা নৃত্য, ঝুমুর নৃত্য, কুই নৃত্য, লাগরে নৃত্য, ওড়াও নৃত্য, জুম নৃত্য, গারোদের সেরেনজিং নৃত্য, বৈশ্য নৃত্য, খাসি দলীয় নৃত্য, ধামাইল নৃত্য, গারোদের মান্দি নৃত্য, এবং সবশেষে মনিপুরীদের রাধাকৃষ্ণ নৃত্য, দিয়ে উৎসব শেষ হয়।

গত রোববার রাত ৮টায় উৎসব প্রাঙ্গণে 'হারমোনি ফেস্টিভ্যাল'র সমাপ্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ টু্যরিজম বোর্ডের (বিপনন, পরিকল্পনা ও জনসংযোগ) পরিচালক ও যুগ্ম-সচিব সালেহা বিনতে সিরাজ। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-পরিচালক বিপনণ ও ব্রান্ডিং মহিবুল ইসলাম, শ্রীমঙ্গল ইউএনও ইসলাম উদ্দিন, শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্য আমিনুল ইসলাম, শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ জোনের টু্যরিস্ট পুলিশের অফিসার ইনচার্য কামরুল হাসান চৌধুরী।

1

আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা মৃণাল কান্তি দাশ, যুব-উন্নয়ন কর্মকর্তা অসীম কুমার কর, স্মার্ট টু্যরিজমের সত্ত্বাধিকারি সাংবাদিক এম এ রাকিব, বৈশাখী টু্যরিজম এর সিইও শফিকুল ইসলাম রুম্মন প্রমুখ।

বিশেষ অতিথি ইসলাম উদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, 'ঐতিহাসিক এই মেলবন্ধন যেন প্রতি বছর আমরা এই শ্রীমঙ্গলে উদযাপন করতে পারি। আমরা এবছর যেভাবে মানুষের সমাসম দেখেছি আশা করছি ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে করতে পারব। এমন মিলনমেলা বিরল! এ থেকে আমাদের নতুন পরিকল্পনা করতে পারলে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কাজে আসবে, উৎসবের ধারাবাহিকতা সার্থক হবে।'

প্রধান অতিথি সালেহা বিনতে সিরাজ তার বক্তব্যে বলেন, 'আমরা ভাবতেই পারি নাই তিনদিনের "হারমোনি ফেস্টিভ্যাল" এ এত দর্শনার্থী হবে। দেশ বিদেশ থেকে আসা উৎসব মুখর হাজারো পর্যটকরা আমাদের এ মেলা প্রাঙ্গণে এসেছেন। দর্শনার্থীদের দেখে খুব ভালো লেগেছে। আমরা প্রতি বছর একই স্থানে এ উৎসব বাংলাদেশ টু্যরিজম বোর্ডের উদ্যোগে আয়োজন করব।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে