মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২

জলমহালে মাছ লুটের ঘটনায় এখনও মামলা নেয়নি পুলিশ

স্টাফ রিপোর্টার
  ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
জলমহালে মাছ লুটের ঘটনায় এখনও মামলা নেয়নি পুলিশ

কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার বেংলা-চরাবাধা জলমহালের মাছ লুটের ঘটনার পর এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনও মামলা নেয়নি পুলিশ। বরং থানায় অভিযোগ দায়েরকারী জালমহলের ইজারাদারকে অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।

অভিযোগ রয়েছে, গত ১২ জানুয়ারি দুপুরে একদল দুর্বৃত্ত দুই ট্রলার ভর্তি মাছ লুট করে নদীপথে জেলার কুলিয়ারচর বাজারে অবস্থিত মৎস্য আড়তে নিয়ে যায়। পরে বেলা-চরাবাধার ইজারাদারের পক্ষের লোক আরো কয়েকটি ট্রলারযোগে কুলিয়ারচরে গিয়ে দুটি মাছের ট্রলার আটক করে আবার বাজিতপুরের পাটুলী মাছের আড়তে নিয়ে আসলেও লুট করা মাছের একটি বড় অংশই কুলিয়ারচর আড়তে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে বলে ইজারাদার অভিযোগ করেন। তার দাবি, এই মাছের যার মূল্য আট-দশ লাখ টাকা। এছাড়া মাছের ট্রলারের ট্রাঙ্কে থাকা আগের দিনের মাছ বিক্রির নগদ টাকা ও মোবাইল ফোনসহ মূল্যবান কাগজপত্রও লুটে নেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় ১৩ জানুয়ারি বেংলা-চরাবাধা জলমহালের ইজারাদার ও কাইমের বাউলী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি শ্রী দ্বিপক দাস বাজিতপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ মামলাটি নথিভুক্ত করেনি।

কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসন অফিস সূত্র জানা গেছে, ভূমি মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় জেলা প্রশাসন এক হাজার ৩৬৩ দশমিক ৫৭ জলমহালটি বাজিতপুর উপজেলা জেলে অধু্যষিত কাইমের বাউলী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডকে ছয় বছরের জন্য ইজারা দেয়। সমিতির সভাপতি দ্বিপক দাস ২০২৪ সালে প্রথম বছরের ইজারামূল্য ও ভ্যাট বাবদ ৪৬ লাখ ৮২ হাজার ৮২৯ টাকা জমা দেন। গত বছরের (২০২৪) ১৪ আগস্ট জেলা প্রশাসনের পক্ষে বাজিতপুরে দিঘিরপাড় ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকর্তাসহ সরকারি লোকজন দ্বিপক দাসকে আনুষ্ঠানিকভাবে জলমহালের দখল বুঝিয়ে দেয়। যার মেয়াদ ১৪৩১ বঙ্গাব্দের পহেলা বৈশাখ থেকে ১৪৩৬ বঙ্গাব্দের ৩০ চৈত্র।

থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, বিএনপির নেতা আবু বক্কর সিদ্দিক ডালহৌসির লোকজন বেশ কিছুদিন ধরেই বেংলা-চরাবাধ জলমহালের মাছ লুটের পাঁয়তারা করছিল। গত ১২ জানুয়ারি দুপুরে জলমহালের জেলেরা মাছ ধরে বিক্রির জন্য দুটি ট্রলারে প্রায় দুই টন মাছ তুলে রাখে। যার আনুমানিক মূল্য ৮-১০ লাখ টাকা। ওই সময় বিএনপির নেতার নেতৃত্বে ২০-৩০জনের একটি গ্রম্নপ দেশি অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জলমহালে হামলা চালায়। তারা জলমহালের ইজারাদারসহ পাহারাদারদের মারধর করে ট্রলারদুটি ভাসিয়ে নিয়ে যায়। হামলায় মনির হোসেন ও হাইকুল ইসলাম নামের দুইজন আহত হন।

বেংলা-চরাবাধা জলমহালের ইজারাদার দ্বিপক দাস, বলেন,ঘটনার দিন তিনি নদীতে মাছ ধরতে জাল ফেললে উপজেলা বিএনপির নেতা আবু বক্কর সিদ্দিকী ডালহৌসির নেতৃত্বে তার লোকজন এসে পাহারাদার কে মারধর করে তারা মাছ গুলো নিয়ে যায়, এই সময় তারা নদীর হিসাব নিকাশের খাতা গুলোও নিয়ে গেছে পরবর্তীতে কুলিয়ারচর বাজারে মৎস্য আড়ত থেকে অল্প কিছু মাছ ফেরত আনা হলেও বাকি মাছগুলো তারা নিয়ে গেছে এই বিষয় বাজিতপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছিলাম কিন্তু এখানো মামলা হয়নি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে