বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২
রংপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড

রাজবাড়ীতে ব্যবসায়ী হত্যায় ২ জনের মৃতু্যদন্ড, ৬ জনের যাবজ্জীবন

স্বদেশ ডেস্ক
  ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
রাজবাড়ীতে ব্যবসায়ী হত্যায় ২ জনের মৃতু্যদন্ড, ৬ জনের যাবজ্জীবন
রংপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড

রাজবাড়ীতে বালু ব্যবসায়ী হত্যায় ২ জনের মৃতু্যদন্ড ও ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। অন্যদিকে, রংপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়। আঞ্চলিক স্টাফ রিপোর্টার ও প্রতিনিধির পাঠানো খবরে বিস্তারিত-

স্টাফ রিপোর্টার, রাজবাড়ী জানান, রাজবাড়ীতে বালু ব্যবসায়ী সাফিন খান (৪০) হত্যা মামলায় দুইজনকে মৃতু্যদন্ড ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। গত সোমবার বিকেল ৫টায় রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোসাম্মৎ জাকিয়া পারভীন জণাকীর্ণ এক আদালতে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন।

মৃতু্যদন্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কুষ্টিয়ার খোকসা জেলার আমবাড়িয়া গ্রামের সালাম মন্ডলের ছেলে আরিফুজ্জামান আরিফ ও একই গ্রামের ইব্রাহীম প্রামানিকের ছেলে রুহুল আমিন প্রামানিক। যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার সেনগ্রামের মুরাদ মন্ডলের ছেলে সামাদ মন্ডল, শাজাহান প্রামানিকের ছেলে ওয়াহেদ আলী প্রামানিক, পাবনা সদর উপজেলার আকাই কাজীর ছেলে রশিদ কাজী, খোকসা উপজেলার আমবাড়িয়া গ্রামের সাত্তার মোলস্নার ছেলে রাজীব মোলস্না, একই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে সবুজ মোলস্না ও মোতালেব মোলস্নার ছেলে সাগর মোলস্না। মৃত সাফিন খান কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার আমবাড়িয়া গ্রামের বক্কার খানের ছেলে।

জানা যায়, সাফিন খান দীর্ঘ ১৮ বছর সৌদি আরব ছিলেন। সেখান থেকে দেশে ফিরে বালুর ব্যবসা শুরু করেন। ২০১৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর তারিখে পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামে একটি ফসলি ক্ষেত থেকে সাফিন মন্ডলের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগের দিন ১৬ ডিসেম্বর তারিখে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। সাফিনের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তার বড় ভাই ফরিদ হাসান বাদী হয়ে পাংশা থানায় হত্যা মামলা করেন। সেখানে পাঁচজনকে অভিযুক্ত করা হয়। তবে, পুলিশ মামলাটির তদন্ত করতে গিয়ে ওই পাঁচজনসহ আর ছয়জনের মোট ১১ জনের সম্পৃক্ততা পায়। তদন্ত শেষে ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দেওয়া হয়। মামলার অপর তিন আসামি সেলিম রানা, রতন মোলস্না ও কবীরুল ইসলাম সুমনের বিরুদ্ধে হত্যায় সংশ্লিষ্টতার কোনো প্রমাণ না পাওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

রাজবাড়ী আদালতের পিপি আব্দুর রাজ্জাক (২) বলেন, এটি একটি চাঞ্চল্যকর মামলা ছিল। আদালত যে রায় দিয়েছেন তাতে তিনি খুশী।

রংপুর প্রতিনিধি জানান, রংপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী ওসমান গণিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে রংপুরের সিনিয়র দায়রা জজ ফজলে খোদা আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। এর সঙ্গে দশ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় অপর আসামি ওসমান গণির বাবা সহিদুল হককে বেকসুর খালাস প্রদান করেন বিচারক।

জানা গেছে, রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার মোস্তফাপুর বার বিঘা গ্রামের সহিদুল হকের পুত্র ওসমান গণির সঙ্গে আমজাদ হোসেনের কন্যা মঞ্জুয়ারা খাতুনের বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকে সংসারে অভাব অনটনের কারণে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে প্রায় ঝগড়া হতো। এরই এক পর্যায়ে ২০১৫ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে স্ত্রী মঞ্জুয়ারা খাতুনকে গলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যা করেন স্বামী। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আমজাদ হোসেন ২৫ সেপ্টেম্বর বদরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সরকারী আইন কর্মকর্তা আফতাব উদ্দিন জানান, 'ন্যায় বিচার পেয়েছি। এই রায়ের ফলে সমাজে অপরাধের হার কমে আসবে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে