হবিগঞ্জে হত্যা মামলায় ৩৭ জন আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। এ ছাড়াও নওগাঁর মহাদেবপুরে ক্লুলেস খুনের রহস্য উদঘাটন ও তিনজনকে গ্রেপ্তার, ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে বন্ধুকে ছুরিকাঘাতে একজন এবং বগুড়ার গাবতলীতে মাদকদ্রব্যসহ কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত-
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার কালনী গ্রামে চাঞ্চল্যকর সৌদি প্রবাসি দিপু মিয়া হত্যা মামলায় ৩৭ জন আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার হবিগঞ্জের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক দোলোয়ার হোসেনের আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত না-মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ নিয়ে এই মামলায় ৬০ জন আসামির মধ্যে ৪৩ জন কারাগারে গেল। এর আগে একই মামলায় জেলার চুনারুঘাট উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ৬ আসামিকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করের্ যাব।
জানা যায়- ওই গ্রামের পঞ্চায়েত সর্দার কাজী ফরিদ মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের বর্তমান ইউপি সদস্য লুৎফুর রহমান সাস্তু মিয়ার দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলছিল। এরইজের ধরে গত ২২ জানুয়ারি বিকেলে উভয় পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ২৫ জন আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় দিপু মিয়াকে জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে এ ঘটনায় নিহতের ভাই কাজী সজলু মিয়া বাদী হয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।
নওগাঁ প্রতিনিধি জানান, নওগাঁর মহাদেবপুরে ক্লুলেস খুনের রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার সাফিউল সারোয়ার বলেন, মহাদেবপুর থানাধীন রাইগা ইউনিয়নের অন্তর্গত কালনায় মৌজায় জনৈক আরমান সরদারের জমির পাশে কালভার্টের নিচে হত্যাকারীরা পত্নীতলা থানার কোতালী গ্রামের মৃত অছিমুদ্দিনের ছেলে জাহিদুল ইসলামকে হত্যার পর মাঠে ফেলে রেখে যায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী নাসিমা খাতুন (৩৭) বাদী হয়ে গত ১৬ ডিসেম্বর মহাদেবপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত সোমবার রাতভর অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা হলেন মামুনুর রশিদ (৩৬), পিতা গুলজার হোসেন, রুবেল হোসেন (২৫), পিতা মৃত ইসমাইল হোসেন এবং মোহাম্মদ রাজু হাসান (৩২), পিতা- মৃত আবুল কালাম আজাদ। তারা সকলেই পত্নীতলা থানার ঘোষনগর ইউনিয়নের কোতালী গ্রামের বাসিন্দা।
গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি জানান, ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে বন্ধুকে ছুরিকাঘাতের নিহতের ১৭দিন পর হত্যা মামলার প্রধান আসামি বন্ধু সাব্বির মিয়াকে (২৩) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ওর্ যাব। গত সোমবার মধ্যরাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গাজীপুরের পুরাবাড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাগলা থানার ওসি ফেরদৌস আলম। গ্রেপ্তার সাব্বির গফরগাঁও উপজেলার লংগাইর ইউনিয়নের কাজা গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে। মঙ্গলাবার তাকে ময়মনসিংহ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার দত্তেরবাজার ইউনিয়নের বালিপাড়া গ্রামের আওলাদ হোসেনের ছেলে এসএম শাহাদাত হোসেন জয় (১৯) ও সাব্বিরের মধ্যে বন্ধুত্ব ছিল। ৯ জানুয়ারি সাব্বির ফোন করে জয়কে মশাখালি বাজার এলাকায় ডেকে নিয়ে আসে। এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে জয়কে ছুরিকাঘাত করে সাব্বির। পরে স্থানীয়রা আহত জয়কে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ১১ জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় জয় মারা যায়। পরদিন নিহতের পিতা আওলাদ হোসেন বাদী হয়ে সাব্বিরকে আসামি করে পাগলা থানায় হত্যা মামলা করেন।
গাবতলী (বগুড়া) প্রতিনিধি জানান, বগুড়ার গাবতলীতে ৩১০পিচ ট্যাপের ট্যাবলেটসহ সৈকত হোসেন খান নামের একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত সোমবার সন্ধ্যায় গাবতলী সদর ইউনিয়নের সারোটিয়া এলাকার লাঠিগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজের পেছন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার সৈকত গাবতলী সদর ইউনিয়নের সারোটিয়া গ্রামের আ. মজিদ খুট্টু খানের ছেলে।