বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২

বিশ্ব ইজতেমায় কদর বেড়েছে কাগজ-পলিথিনের

বিক্রি হচ্ছে ১০-২০ টাকা
গাজীপুর প্রতিনিধি
  ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
বিশ্ব ইজতেমায় কদর বেড়েছে কাগজ-পলিথিনের

গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে দেশের বৃহৎ জুমার নামাজ। জুমার নামাজের আগেই পুরো ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের অলিগলিতে মুসুলিস্নতে পূর্ণ হয়ে যায়। এসময় তারা জায়নামাজ, পলিথিন, খবরের কাগজ বিছিয়ে জুমার নামাজে অংশ নিতে অবস্থান নেয়।

জুমার নামাজে অংশ নিতে শুক্রবার ভোর থেকেই বিভিন্ন বাহনে করে তারা ইজতেমা ময়দানে আস্তে থাকে।

বিভিন্ন জেলা থেকে আসা চিলস্নাধারী মুসুলিস্নরা ময়দানের ভেতরে অবস্থান নিয়ে জুমার নামাজে অংশগ্রহণ করলেও বাইরের মুসুলিস্নরা সড়ক, ফুটপাতসহ বিভিন্ন জায়গাতে জুমার নামাজে অংশ নেন। এসময় তারা পুরনো কাগজ ও বিভিন্ন কারখানার অব্যবহৃত বিভিন্ন পণ্যের মোড়ক কিনেন। এসব কাগজ ও অব্যবহৃত বিভিন্ন পণ্যের মোড়ক একজন বা দুইজন একসাথে নামাজ আদায় করতে পারেন। মুসলিস্নদের এসব কাগজ ও মোড়ক ১০-২০টাকায় কিনতে দেখা গেছে।

শুক্রবার সাড়ে ১১টায় বিশ্ব ইজতেমার ময়দানের আশপাশ ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।

বিশ্ব ইজতেমার ৭নং গেটের সামনে নামাজের জন্য অব্যবহৃত কাগজ বিক্রি করছিলেন মেহেদী হাসান। মেহেদী জানান, অন্যান্য সময় তিনি একটি ওয়ার্কসপে শ্রমিকের কাজ করেন। ইজতেমার সময় তিনি খবরের কাগজ ও পলিথিন বিক্রি করেন।

মেহেদী বলেন, ১০০টাকা কেজি দরে পুরনো কাগজ কিনে এনে তা এক জনের নামাজ উপযোগী করে কেটে নিতে হয়। এতে জনপ্রতি ১০টাকায় বিক্রি করলে সামান্য লাভ হয়। কেটে ছোট করার সময় অনেক কাগজ নস্ট হয়ে যায়। দুজনের নামাজ উপযোগী কাগজ ২০টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। মুসলিস্নরা তা কিনে নিচ্ছেন।

ষাটোর্ধ্ব নজরুল ইসলাম পলিথিনে মোড়ানো কাগজ বিক্রি করছিলেন ১০টাকায়। তিনি বলেন, 'বিক্রিতে আমাদের যে লাভ হয় তার চেয়ে মুসলস্নীদের উপকার বেশি হয়। যারা জুমার নামাজ পড়তে এসে জায়নামাজ সঙ্গে আনেননি, তারাই আমাদের কাছ থেকে এ কাগজ কিনে থাকেন।'

কাসেম নামের অপর যুবক ৬ ফুটের ফয়েল বিক্রি করছিলেন ১২০টাকায়। মুসলিস্নরা দামাদামি করার পর তা ১০০টাকায়ও বিক্রি করেছেন।

দেশের বৃহত্তম জুমার নামাজে অংশ নিতে আশুলিয়া থেকে ইজতেমা ময়দানে এসেছেন গার্মেন্টস্‌ কারখানার কর্মকর্তা আশিক। তিনি বলেন, 'বাস ও রিকশা যোগে ইজতেমা ময়দানে এসেছি, কিন্তু জায়নামাজ আনা হয়নি। তাই ২০টাকায় দুজনের বসার উপযোগী পলিথিন কিনেছি। এতে আমাদের উপকারই হচ্ছে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে