সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ২২ বৈশাখ ১৪৩২

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো পার হয় শিক্ষার্থীরা

সুব্রত কুমার ফৌজদার, ডুমুরিয়া (খুলনা)
  ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো পার হয় শিক্ষার্থীরা
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো পার হয় শিক্ষার্থীরা

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাকো পার হয়ে সর্বদা স্কুলে যাচ্ছে কমলমতি শিক্ষার্থীরা। তড়িগড়ি সাঁকো পারাপারে অনেক সময় দুর্ঘটনারও শিকার হচ্ছে তারা। খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার ভান্ডারপাড়া আশ্রয়ন প্রকল্প সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এমন দৃশ্য যেন প্রতিনিয়ত।

জানা যায়, ভদ্রা নদী পুনঃখননের ৫ বছর আগে ভান্ডারপাড়া আশ্রয়ন প্রকল্প বাসিন্দাদের কথা বিবেচনা করে সরকার আশ্রয়ণ প্রকল্পে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। ভান্ডারপাড়া ও শোভনা ইউনিয়নের সীমান্ত দিয়ে বয়ে যেছে ভদ্রা নদী। কালের বিবর্তনে নব্বইয়ের দশকে নদী পলি ভরাট হয়ে সমতল ভুমিতে পরিণত হয়। ভরাটি নদীর বুকের উপর ফসলি আবাদ শুরু করে কৃষকরা। ১০১৪ সালে ভান্ডারপাড়া আবাসনে প্রাথমিক বিদ্যালয় হয়। ২০১৬ সালে ভদ্রা নদী পুনঃখননের উদ্যোগ নেয় সরকার। ২১ কিলোমিটার নদীর খনন কাজ শেষ হয় ২০১৯ সালে। অপরিকল্পিতভাবে নদী খনন করায় দু'পারের মানুষ এখন চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। এ বিদ্যালয়ে নদীর ওপার চিংড়া গ্রাম থেকে অনেক শিক্ষার্থী পড়া লেখা করে। তারা সর্বদা ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো পার হয়ে স্কুলে আসা-যাওয়া করছে।

৮ বছর আগে সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি মরহুম খান আলী মুনসুরের সার্বিক প্রচেষ্টায় এবং গ্রামবাসীর অর্থায়নে ভদ্রা নদীতে ১২০ ফুট দৈর্ঘের এই বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে সাঁকোটি পারাপারে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। নদীতে জোয়ারের সময় পানির চাপে প্রায়ই ভেঙ্গে যায় সাঁকোটি।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল জব্বার জানান, সাঁকোটি পারাপারে বিশেষ করে কমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। জোয়ারের পানির চাপে ইতোপূর্বে কয়েকবার ভেঙ্গে গেছে। পরবর্তিতে বিভিন্ন জনের সহায়তায় সংস্কার করা হয়। সম্প্রতি সাঁকোটি খুবই জনগুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, প্রায়ই জোয়ারের পানিতে বিদ্যালয়ের মাঠ পস্নাবিত হয়। মাঠ ভরাটসহ মজবুত সাঁকো বা স্থায়ী সেতু নির্মাণের দাবী স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে