রোববার, ০৪ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২

ডুমুরিয়ায় জয়খালী-মুনসুর আলী সড়কের ভগ্নদশা

ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি
  ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
ডুমুরিয়ায় জয়খালী-মুনসুর আলী সড়কের ভগ্নদশা
খুলনার ডুমুরিয়ায় ওয়াপদা থেকে জয়খালী পর্যন্ত মনসুর আলী সড়কের বেহাল দশা -যাযাদি

খুলনার ডুমুরিয়ায় ওয়াপদা থেকে জয়খালী পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার মুনসুর আলী সড়কে কার্পেটিং উঠে বেহাল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। ইট ভাটার ওভারলোড ট্রাক চলাচলে এবং মানসম্মত কাজ না হওয়ায় সংস্কারের বছর পার না হতেই খানাখন্দে ভরে গেছে। বর্তমানে সড়কটিতে যানচলাচলের একেবারই অনুপযোগি হয়ে গেছে। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগে জীর্ণ সড়ক সংস্কার না হলে চরম ভোগান্তিতে পড়বে এলাকার মানুষ।

জানা যায়, ডুমুরিয়া সদরের ওয়াপদা মাথা হইতে সাহস-নোয়াকাটি মুনসুর আলী সড়কের ৩ কিলোমিটার কার্পেটিং উঠে খানাখন্দে ভরে গেছে। সড়কটির ওয়াপদা থেকে চটচটিয়া ব্রীজ পর্যন্ত দৈর্ঘ্য ১০ কিলোমিটার। এরমধ্যে ওয়াপদা থেকে জয়খালী পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার রাস্তায় কর্পেটিং উঠে ধুলোর রাজ্যে পরিণত হয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ওয়াপদা থেকে জয়খালী অভিমুখি ৫ কিলোমিটার সড়কটি মেরামতের কাজ হয়। মানসম্মত কাজ না হওয়ায় বছর না যেতেই কার্পেটিং ওঠে বেহাল অবস্থা সৃষ্টি হয়। জীর্ণশীর্ণ সড়কটি ক্রমাগত ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। অদ্যাবদি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। ফলে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সাহস-ভান্ডারপাড়া ও ডুমুরিয়া ইউনিয়নের অন্তত ২০ হাজার মানুষ।

ভান্ডারপাড়ার শেখ শাহিনুর রহমান জানান, ষাটের দশকে খুলনার ডুমুরিয়ায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ২৯ নং পোল্ডার আওতায় এই বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি নির্মাণ করে। এরপর ওই বাঁধের উপর ১৯৯৪ সালের দিকে বিএনপি সরকারের আমলে ডুমুরিয়া সদরের আইতলা ওয়াপদা থেকে সাহস অভিমুখী জয়খালী পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার সড়কটি এলজিইডি'র আওতায় কার্পেটিং দ্বারা উন্নয়ন হয়। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো, আ'লীগ সরকারের আমলে সড়কটি দৈন্যদশায় ভোগে। গত কয়েক বছর আগে সড়কটি যৎকিঞ্চিৎ সংস্কারের কাজ হয়।

শিবনগরের বঙ্কিম ঘোষ জানান, কালের বিবর্তনে পাউবোর বন্যা নিয়ন্ত্রণের বাঁধটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে পরিণত হয়েছে। ২০২২ সালের শেষ দিকে চটচটিয়া সেতু উদ্বোধনের পর সড়কের গুরুত্ব কয়েকগুন বেড়ে গেছে। মাগুরখালীসহ পাইকগাছা-কপিলমুনি এলাকার মানুষ দ্রম্নত আসা-যাওয়া করছে এ সড়ক দিয়ে। কিন্তু সম্প্রতি রাস্তার ভয়ানক দুরবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। আগামী বর্ষার আগে সংস্কার না করলে চরম বিপাকে পড়তে হবে এ অঞ্চলের মানুষের।

জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক ডুমুরিয়া সদরের খান ইসমাইল হোসেন জানান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি মরহুম খান আলী মুনসুরের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় নির্মিত মুনসুর আলী সড়কটি আওয়ামী সরকারের ১৫ বছর চরম অবহেলিত। এ সড়ক সংলগ্ন ৩টি অবৈধ ইটভাটা রয়েছে। এই ভাটার ওভারলোড ট্রাক চলাচলের কারণে সড়কটি দ্রম্নত ভেঙে জীর্ণ হয়েছে।

ভান্ডারপাড়ার শাহনেওয়াজ শেখ জানান, বর্তমান রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। এরাস্তা দিয়ে যেতে গেলে ভালো মানুষেরও মাজায় ব্যাথা হবে। তিনি বলেন, খান আলী মুনসুর সাহেব মারা যাওয়ার কারণে রাস্তার এই দৈন্যদশা হয়েছে।

এ বিষয়ে এলজিইডি খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম সরদার জানান, সড়কটির কি অবস্থা সেটা আগে দেখতে হবে। যানচলাচলের অনুপযোগি হলে অবশ্যই দ্রম্নত সংস্কার করা হবে। তাছাড়া ঠিকাদারের মেয়াদের মধ্যে সড়কটি নষ্ট হয়েছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে