ঢাকার দোহার উপজেলায় গভীর রাতে ডাকাতরা হামলা চালিয়ে গ্রামবাসীকে গুলি করে। এতে ৭ জন গুলিবিদ্ধসহ ১৫ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত বুধবার দিনগত রাত ২টার দিকে উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়নের চর কুতুবপুর এলাকার নিলুয়ার হোসেনের বাড়িতে ডাকাতিকালে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় একজন ডাকাত দলের এক সদস্যকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছেন এলাকাবাসী।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানায়, বুধবার রাত দুইটার দিকে উপজেলার বিলাশপুর এলাকার চর কুতুবপুর এলাকার নিলুয়ার বাড়িতে ২০-২৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাতদল ডাকাতীর উদ্দেশ্য হানা দেয়। এ সময় ডাকাত দল ওই বাড়ির প্রধান দরজা ভেঙ্গে ঘরের ভেতর প্রবেশ করে প্রথমে নিলুয়ার বাবা মাকে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ওই কক্ষ থেকে ৭-৮ ভরি স্বর্ণ লুটে নেয়। ঘটনার শব্দ পেয়ে বাড়ির দ্বিতীয় তলা থেকে নিচতলায় আসে নিলুয়ার ও তার ছোট ভাই।
এ সময় তাদের ডাকচিৎকারে এলাকাবাসী লাঠি নিয়ে ডাকাতদের প্রতিরোধ করার চষ্টো করে। পরে মুখোশ পরিহিত ডাকাতেরা তখন গ্রামবাসীকে লক্ষ্য করে এলাপাথারীভাবে গুলি ছুঁড়ে ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ডাকাতরা পালিয়ে গেলেও একজন ডাকাতকে আটক করতে সক্ষাম হয় এলাকাবাসী।
এ ঘটনায় এলকার অন্তত ১৫ জন আহত হয়। পরে আহতদের দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে নিয়ে গেলে এদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা অবনতি হলে তাঁদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং অন্যরা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সেই চিকিৎসা নেয়। এ ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পরে আটক এক ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে।
বাড়ির মালিক নিলুয়ার হোসেন বলেন, ডাকাতেরা একটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার যোগে তাঁদের বাড়ির সামনে পদ্মা নদীর ঘাটে আসে। এরপর তাঁদের বাড়িতে হানা দেয়। ডাকাতদের ট্রলারটিও আটক করা হয়েছে। গ্রামবাসীর প্রতিরোধে ডাকাতরা গুলি করতে করতে পালিয়ে যায়।
গুলিবিদ্ধ বায়েজিদ হোসেন বলেন, তাঁর শরীরে প্রায় ১০টা রাবার বুলেট লেগেছে। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বিশ্রামে আছেন।
গুলিবিদ্ধরা হলেন- সোহেল ভান্ডারী (৪৫), মো. মাসুদ (১৮), এমডি রবিন (৩২), নুর মোহাম্মদ (২০), রিয়াজুল ইসলাম (৩৭), মো. সাহেব আলী ও বায়েজিদ হোসেন।
দোহার থানার ওসি রেজাউল করিম বলেন, রাতে সংবাদ পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়ে আটক একজনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ সময় ডাকাতের করা গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়। বাদীর অভিযোগ পেলেই মামলা হবে। ঢাকা জেলা দোহার সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল আলম বলেন, 'খবর পেয়েই দোহার থানা ও নবাবগঞ্জ থানা পুলিশসহ আমি ঘটনাস্থলে যাই। এ ঘটনায় ডাকাত দলের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মূলত ওইব্যক্তি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।