শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

৮ মাসেই ভালোবাসার পরিসমাপ্তি

শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার, স্বামী আটক
যাযাদি রিপোর্ট
  ১৫ আগস্ট ২০২২, ০০:০০

ফেসবুকের সূত্র ধরে খায়রুন নাহার ও মামুন হোসেনের পরিচয় হয়। তারপর একে অপরের প্রেমে পড়েন। এক পর্যায়ে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন দু'জন। শিক্ষিকা খায়রুনের বয়স ৪০ বছর, ছাত্র মামুন তার চেয়ে প্রায় ১৫ বছরের ছোট। কিন্তু বয়স তাদের পরিণয়ের ক্ষেত্রে কোনো বাধা সৃষ্টি করতে পারেনি। ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর কাউকে না জানিয়ে গোপনে বিয়ে করেন তারা।

শেষ পর্যন্ত প্রাণ দিলেন শিক্ষিকা খায়রুন নাহার। রোববার সকালে শহরের বলারিপাড়া এলাকার ভাড়া বাসা থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় স্বামী মামুন হোসেনকে আটক করা হয়েছে।

নাটোরের গুরুদাসপুরের এ বিয়ে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার ঝড় ওঠে। ততোধিক আলোচনা তৈরি হয়েছে খায়রুনের মৃতু্য নিয়ে।

এলাকাবাসী জানান, রোববার ভোরে মামুন হোসেন ভবনের অন্য বাসিন্দাদের জানায় তার স্ত্রী খায়রুন নাহার রাতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। লোকজন তার বাসায় গিয়ে ওই শিক্ষিকার মরদেহ মেঝেতে শোয়া অবস্থায় দেখতে পান। এতে তাদের সন্দেহ হলে মামুনকে বাসায় আটকে রেখেই তারা পুলিশে খবর দেয়।

নাটোর থানার ওসি নাসিম আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। অন্য বাহিনীর সদস্যরাও তদন্ত করবেন। তদন্ত ও লাশের ময়নাতদন্ত হলে এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। হত্যা কিংবা আত্মহত্যা যাই হোক না কেন, এমনটা ঘটল কেন তা পুলিশ খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে।

জানা যায়, এই দম্পতির সংসার জীবন মাত্র ৮ মাসের। কাউকে না জানিয়ে গোপনে বিয়ে করেন তারা। বিয়ের ছয় মাস পর তাদের সম্পর্ক জানাজানি হলে ছেলের পরিবার মেনে নিলেও মেয়ের পরিবার থেকে বিয়ে মেনে নেয়নি। এর আগে ওই শিক্ষিকা বিয়ে করেছিলেন রাজশাহী বাঘা উপজেলার এক ছেলেকে। পারিবারিক কলহে সেই সংসার বেশি দিন টেকেনি। প্রথম স্বামীর ঘরে এক সন্তান রয়েছে বলেও জানা গেছে। খায়রুন নাহার উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে