মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ১৪ চৈত্র ১৪২৯
walton

মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মী নেওয়ার প্রক্রিয়া স্থগিত

যাযাদি ডেস্ক
  ১৯ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

বাংলাদেশসহ ১৫টি দেশ থেকে নতুন করে মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মী নেওয়ার কোটা অনুমোদনের আবেদন পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করেছে দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়। শনিবার এক বিবৃতিতে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী ভি শিবকুমার এ তথ্য জানান।

তিনি আরও জানান, ফরেন ওয়ার্কার অ্যামপস্নয়মেন্ট রিল্যাক্সেশন পস্ন্যানে (পিকেপিপিএ) বিদেশি কর্মীদের জন্য কোটার আবেদন ও অনুমোদন ১৮ মার্চ থেকে পরবর্তী সময়ে তারিখ ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হলো।

এদিকে, ১৪ মার্চ (মঙ্গলবার) পর্যন্ত বিভিন্ন সেক্টর থেকে বিদেশি কর্মীদের জন্য মোট ৯ লাখ ৯৫ হাজার ৩৯৬টি কর্মসংস্থান কোটা মন্ত্রণালয় অনুমোদন করার পরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত বিদেশি শ্রমিকদের জন্য যে সংখ্যক কোটা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, এর ফলে গুরুত্বপূর্ণ খাতসহ শিল্পকারখানায় এসব কর্মীকে দিয়ে শ্রম চাহিদা মেটানো সক্ষম বলে আশা করছেন মানবসম্পদ মন্ত্রী। তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত কোটার তুলনায় বিদেশি কর্মীর প্রবেশের সংখ্যা এখনও কম।

অন্যদিকে, গত ৫ মার্চ পর্যন্ত মালয়েশিয়ার নিয়োগদাতারা বাংলাদেশ থেকে ৩ লাখ ১৪ হাজার ৪৭৩ জন কর্মী নিতে সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন পেয়েছেন। দেশটির

মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের জন্য এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ১৪ হাজার ৪৭৩ কোটা অনুমোদন দিয়েছে।

এর আগে গত ১ মার্চ পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের শ্রম-কল্যাণ উইং থেকে ২ লাখ ১৯৯ কর্মী নিয়োগের চাহিদাপত্রে সত্যায়ন করা হয়েছে। মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের ভিসা ইসু্যতে সহযোগিতা করা প্রতিষ্ঠান এমইএফসি থেকে ই-ভিসা ইসু্য করা হয়েছিল ১ লাখ ২২ হাজার ২টি।

গত ৮ ফেব্রম্নয়ারি মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী ভি শিবকুমারের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে কর্মী নিয়োগে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে দুই দেশের মধ্যে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রম্নপের সভা আয়োজনের অনুরোধ জানান বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে চলতি মাসে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রম্নপের বৈঠকের বিষয়ে প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছিলেন দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রী।

বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর গতি বাড়ানো ও অভিবাসন খরচ কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং দেশটিতে কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া কীভাবে আরও সহজ করা যায় এসব বিষয় নিয়ে সেই বৈঠকে আলোচনা হতে পারে।

এছাড়া বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত অনলাইন পদ্ধতি যুক্ত করার বিষয়ে আলোচনার সম্ভাবনার কথা জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ ছিল বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী যাওয়া। দীর্ঘ দেনদরবার ও নানা অনিশ্চয়তার পর ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর কর্মী নিয়োগে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। এরপর ২০২২ সালের ২ জুন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী এম সারাভানানের নেতৃত্বে ঢাকায় দুই দেশের বৈঠকে কারিগরি বিষয়সহ অমীমাংসিত ইসু্যগুলোর সমাধান হয়। শ্রমবাজার খোলার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন দুই মন্ত্রী। সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী ২০২২ সালের ৮ আগস্ট থেকে কর্মী যাওয়া শুরু হয় মালয়েশিয়ায়। শুরুতে ২৫ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়ার ঘোষণা দেয় মালয়েশিয়া সরকার। এরপর দুই দফায় আরও ৭৫টি রিক্রুটিং এজেন্সি যুক্ত করে মালয়েশিয়া সরকার। এখন বাংলাদেশের মোট ১০০ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী নিচ্ছে দেশটি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে