শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রসিদ না থাকায় বন্ধ হলো মুরগির আড়ত

কাপ্তান বাজারে ভোক্তা অধিকারের অভিযান
যাযাদি ডেস্ক
  ২৮ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

মুরগির ক্রয়মূল্য দেখাতে না পারায় এবং বিক্রির রসিদ না দেওয়ায় রাজধানীর কাপ্তান বাজারে মুরগির একটি আড়ত বন্ধ করে দিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

সোমবার কাপ্তান বাজারে মুরগির দাম তদারকিকালে পাইতারি এই আড়তটি বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার। এ সময় আড়তদারকে কাগজপত্র নিয়ে ভোক্তার কার্যালয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

মুরগিসহ সব ধরনের পণ্যের ক্রয় রসিদ বাধ্যতামূলক থাকলেও অনেকেই তা মানছেন না। ক্রয় আর বিক্রয় মূল্য প্রদর্শনের কথা থাকলেও তা বেশিরভাগ ব্যবসায়ী শুনছেন না। তাই সোমবার কাপ্তান বাজারে অভিযানে এসে ক্রয়-বিক্রয়ের তালিকা টানানো, ক্রয় রসিদ সংরক্ষণে রাখতে নির্দেশনা দিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

এদিন সকাল থেকেই রাজধানীর কাপ্তান বাজারে মুরগির দাম তদারকি করে প্রতিষ্ঠানটির একটি টিম। এ সময় ব্রয়লার মুরগির পাইকারি দাম অল্প লাভ করে ১৮৫ টাকা দাম রাখার আহ্বান জানান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক। পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, তারা ১৭০ -১৭৫ টাকা করে মুরগি কিনেছেন।

অভিযানকালে ক্রয় ভাউচার দেখাতে না পারায় আল-আমিন ট্রেডার্স নামে এক প্রতিষ্ঠানকে এক হাজার টাকা জরিমানা এবং জনতা হাঁস আড়ত নামে একটি প্রতিষ্ঠান সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। অভিযানে অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ও ঢাকা জেলা কার্যালয়ের অফিস প্রধান আব্দুল জব্বার মন্ডলসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা অংশ নেন।

অভিযানের শুরুতে জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, কাপ্তান বাজার হচ্ছে মুরগির অন্যতম পাইকারি বাজার। সম্প্রতি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো রমজান উপলক্ষে মুরগির দাম কমিয়েছে। পাইকারি বিক্রেতারা সেটি মানছেন কিনা, তা তদারকি করতেই কাপ্তান বাজারে আসা। আমরা কিছু অসঙ্গতি পেয়েছি। সংশোধনের জন্য বলেছি। পরে আবার পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অভিযান শেষে তিনি জানান, তদারকি করতে যেয়ে আমরা নানা অনিয়ম পেয়েছি। এর মধ্যে একটি আড়তকে আমরা বন্ধ করে দিয়েছি। আমরা সবাইকে অনুরোধ করছি, বাজার অস্থিতিশীল করে ভোক্তার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসবে। বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ আছে। এর মধ্যে মূল্যে কারসাজি আমরা কোনোভাবেই মেনে নেব না। কোনো বাজারে অনিয়ম দেখলে সমিতি দায়বদ্ধ থাকবে। বাজারে এখনো সোনালি বা কক মুরগি বিক্রির ক্ষেত্রে অস্থিরতা রয়েছে। খুচরা পর্যায়ে একই মুরগি কারও কাছে ৩৩০, কারও কাছে ৩৩৫ এবং কোথাও ৩৪০ টাকা করে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

তিনি বলেন, এই তারতম্যের বিষয়ে ব্যবসায়ীরা মুরগির ছোট, মাঝারি এবং বড় সাইজের কথা উলেস্নখ করেছেন। তবে ভোক্তা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে আমরা নির্দেশ দিয়েছি ছোট, মাঝারি এবং বড় মুরগির ক্ষেত্রেও আলাদা বিক্রয় চার্ট প্রদর্শন করতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে