প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার সকালে সৌদি আরবের মক্কায় পবিত্র ওমরাহ পালন করেছেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তার ছোট বোন শেখ রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে কাবা শরিফ তাওয়াফ এবং সাফা-মারওয়া সায়ি করেন। পরে সফরসঙ্গীদের নিয়ে মসজিদুল হারামে নামাজ আদায় করেন শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি বাংলাদেশ ও দেশের জনগণের পাশাপাশি সমগ্র মুসলিম উম্মাহর অব্যাহত শান্তি সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে দোয়া করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এবং সফরসঙ্গী অন্যান্য সদস্যরাও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ওমরাহ করেছেন। এর আগে রোববার মদিনায় মসজিদে নববিতে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা জিয়ারত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে আসরের নামাজ আদায় ও ফাতেহা পাঠ করেন তিনি।
ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) আয়োজিত 'ইসলামে নারী : মর্যাদা ও ক্ষমতায়ন' শীর্ষক সম্মেলনে যোগ দিতে সৌদি আরব সফর করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছিলেন, জেদ্দায় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্যতম প্রধান বক্তা হিসেবে অংশ নেবেন। নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে সরকারের গৃহীত নানা উদ্যোগ সেখানে তুলে ধরবেন তিনি। ৬ থেকে ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় এ সম্মেলনে মূলত পাঁচটি প্রতিপাদ্যের ওপর আলোচনা হবে বলে জানান মোমেন। সম্মেলন শেষে ইসলামে নারীর অধিকারের নানা দিকে আলোকপাত করে 'জেদ্দা ডকুমেন্ট অব উইমেন ইন ইসলাম' শীর্ষক একটি প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করা হবে।
এই ফোরামে ইরান ও বেনিনের উপ-রাষ্ট্রপতি, স্বাগতিক সৌদি আরব ও ইন্দোনেশিয়াসহ ওআইসিভুক্ত বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অনেক মন্ত্রী, জাতিসংঘের উপ-মহাসচিব, আরব লিগের মহাসচিব, সৌদি সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী অংশ নেবেন।
জেদ্দায় সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন ইরানের নারী ও পরিবার বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট ইনসিয়েহ খাজালি।
ওআইসির মহাসচিব এবং ওআইসির নারী উন্নয়ন সংস্থার (ডবিস্নউডিও) নির্বাহী পরিচালকের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ হবে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুবরাজ ফয়সাল বিন ফারহানের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের কথা রয়েছে।
বৈঠকে সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশিদের কল্যাণ, ব্যবসা বাণিজ্য বৃদ্ধি ও যৌথ বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।