রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে তীব্র যানজট, ভোগান্তি

যাযাদি রিপোর্ট
  ১৫ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে ছিল তীব্র যানজট। এতে ভোগান্তিতে পড়েন চলাচলকারীরা। ছবিটি গুলিস্তান এলাকা থেকে তোলা -ফোকাস বাংলা

রাজধানীবাসীর দৈনন্দিন ভোগান্তির নাম যানজট। প্রতি বছর রমজান এলে এটি কয়েক গুণ বেড়ে যায়। যার ব্যতিক্রম হয়নি এবারও। এ বছর রমজানের শুরু থেকেই সড়কগুলোতে তীব্র যানজট দেখা গেছে। অফিস শুরুর সময় যানজটের তীব্রতা কিছুটা কম থাকলেও, অফিস শেষে সেটি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। রমজানের তৃতীয় দিনেও দেখা গেছে একই চিত্র।

বৃহস্পতিবার সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসের বিকালে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা যায়, বেশির ভাগ সড়কেই যানবাহনের ব্যাপক চাপ রয়েছে। এতে সড়কগুলোতে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। গুরুত্বপূর্ণ সিগন্যালগুলোতে যানবাহনের চাপ সামলাতে ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তা ও সদস্যদের হিমশিম খেতে দেখা গেছে।

এদিন বনানী, মহাখালী, বিজয় সরণি, কারওয়ানবাজার, তেজগাঁও, সাতরাস্তা, মগবাজার, বাংলামোটর, মৌচাক, মালিবাগ, শান্তিনগর, কাকরাইল, মিন্টো রোড, রামপুরা, বাড্ডা, নতুনবাজার, পল্টন এলাকায় যানবাহনের তীব্র চাপ ছিল। সিগন্যালগুলোতে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে যানবাহনকে। তবে মেট্রোরেল যেসব রুটে রয়েছে, সেসব রুটে তেমন যানজট নেই।

চন্দ্রা নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচলকারী মৌমিতা পরিবহণের চালকের সহকারী আজিম বলেন, 'ট্যাকনিক্যাল, কলেজগেট, আড়ং, কারওয়ান বাজারে ব্যাপক যানজট রয়েছে। সকালের তুলনায় বিকালে যানজট বেশি থাকে। আধা ঘণ্টার রাস্তা যেতে দেড় দুই, ঘণ্টা চলে যায়।'

এদিকে যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানবাহন আটকে থাকলেও বেশির ভাগ গণপরিবহণে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। বাসের গেটে অনেককে ঝুলতে দেখা গেছে। ব্যাপক ভিড় ও যানজটে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। অনেকে বিরক্ত হয়ে বাস থেকে নেমে হেঁটেছেন। সারা দিন রোজা রাখার কারণে অনেকে তাও করতে পারেননি। যানজটে বসে ভোগান্তি নিয়েই অপেক্ষা করতে হয়েছে গন্তব্যে ফেরার।

শাহবাগে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন উত্তরার বাসিন্দা রহমত। তিনি বলেন, 'পরিবারের সঙ্গে ইফতার করব। তাই বাসায় যাচ্ছি। কিন্তু আধা ঘণ্টা দাঁড়িয়েও একটি বাসে উঠতে পারিনি। অনেক ভিড়। আবার যানজটের কারণে গাড়িও কম।'

বাসের জন্য অপেক্ষা করা যাত্রী নীপা বলেন, 'প্রায় ২০ মিনিট ধরে দাঁড়িয়ে আছি একটি বাস নেই। বাস এলেও উঠতে পারবো কিনা সন্দেহ। গায়ে গা লাগিয়ে দাঁড়াতে হয়, যা খুবই বিরক্তিকর। কিন্তু কিছু করার নেই। আবার এ জ্যামের কারণে ইফতারের আগে বাসায় পৌঁছাতে পারবো কিনা কে জানে।'

তেজগাঁও ট্রাফিক জোনের অতিরিক্ত ডিআইজি মোস্তাক আহমেদ বলেন, 'অফিস ছুটির পর সবাই ইফতার করতে একসঙ্গে বাড়ির পথ ধরেন। তার ওপর আজ বৃহস্পতিবার শেষ কর্মদিবস। ফলে সড়কে যানবাহনের ব্যাপক চাপ রয়েছে। কারণ রাস্তার ধারণ ক্ষমতার তুলনায় যানবাহনের সংখ্যা অনেক বেশি। তারপরও কোথাও গাড়ি দাঁড়িয়ে নেই। আমাদের পর্যাপ্ত জনবল আছে। পাশাপাশি রমজান ঘিরে বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সবাই যেন ইফতারের আগে বাসায় পৌঁছাতে পারেন আমরা সেই চেষ্টা করছি।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে