রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক

১৪১১৮ কোটি টাকার ১৮ ক্রয়-প্রস্তাব অনুমোদন

ব্যয় বাড়ছে কর্ণফুলী ট্যানেলসহ কয়েকটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের
যাযাদি রিপোর্ট
  ১৫ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

দেশে ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা মেটাতে ৪ কার্গো এলএনজি সরবরাহের পৃথক ৪টি প্রস্তাবসহ ১৮টি ক্রয়প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ১৪ হাজার ১১৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।

বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এসব প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে সভার সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান।

কেনা হচ্ছে ৫০৭ কোটি টাকার তেল-চিনি-ডাল-গম

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব জানান, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ৫০৬ কোটি ৯৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকার তেল, ডাল, চিনি ও গম কিনছে সরকার। এর মধ্যে ১৫৩ কোটি ৯৭ লাখ ২৫ হাজার গম কেনা হচ্ছে। সয়াবিন তেল কেনা হচ্ছে ৭৭ কোটি ৯৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে। আর ১০৭ কোটি ৬০ লাখ টাকার চিনি এবং ১৬৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকার মসুর ডাল কেনা হবে।

সমন্বয় ও সংস্কার সচিব জানান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) প্রতিষ্ঠান গ্রিনফ্লাওয়ার ডিএমসিসির কাছ থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে খাদ্যশস্যের নিরাপত্তা মজুত সুসংহত করতে এই গম আমদানি করা হবে। প্রতি মেট্রিক টন গমের মূল্য ধরা হয়েছে ২৭৯.৯৫ মার্কিন ডলার। ফলে এই গম আমদানিতে মোট ব্যয় হবে ১ কোটি ৩৯ লাখ ৯৭ হাজার ৫০০ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১৫৩ কোটি ৯৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা। প্রতি কেজি গমের মূল্য পড়বে ৩০ টাকা ৭৯ পয়সা।

সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মসুর ডাল কেনার দুটি প্রস্তাব এবং সয়াবিন ও চিনি কেনার দুটি পৃথক প্রস্তাব নিয়ে আসা হয়। চারটি প্রস্তাবই অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

এর মধ্যে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ৬ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল ৬২ কোটি ৯৪ লাখ টাকায় কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বরগুনার রয় এগ্রো ফুড প্রডাক্টস লিমিটেডের কাছ থেকে এই মসুর ডাল কেনা হবে। প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম পড়বে ১০৪ টাকা ৯০ পয়সা।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আর এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল ১০৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকায় কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে ইজি জেনারেল ট্রেডিং থেকে ৬ হাজার টন এবং নাবিল নাবা ফুড লিমিটেড থেকে ৪ হাজার টন মসুর ডাল কেনা হবে। প্রতি কেজির দাম পড়বে ১০৪ টাকা ৪৪ পয়সা। টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী ১ কোটি পরিবারের কাছে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির লক্ষ্যে এসব মসুর ডাল কেনা হবে।

সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী ১ কোটি পরিবারের কাছে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির লক্ষ্যে স্থানীয়ভাবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ৮ হাজার মেট্রিক টন চিনি ১০৭ কোটি ৬০ লাখ টাকায় কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এস আলম এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজের কাছ থেকে ১৩৪ টাকা ৫০ পয়সা দরে এই চিনি কেনা হবে। টিসিবির জন্য এই চিনি কেনার প্রস্তাব নিয়ে আসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আর এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত পুনঃদরপত্র পদ্ধতিতে ৫০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ৭৭ কোটি ৯৮ লাখ ৫০ হাজার টাকায় কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ঢাকার সোনারগাঁও সিডস ক্রাশিং মিলস লিমিটেড থেকে এই সয়াবিন তেল কেনা হবে। এই সয়াবিন তেলও টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী ১ কোটি পরিবারের কাছে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির লক্ষ্যে কেনা হবে।

দুই দেশ থেকে কেনা হচ্ছে ৪ কার্গো এলএনজি

সমন্বয় ও সংস্কার সচিব জানান, সিঙ্গাপুর ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (ইউএসএ) থেকে চার কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের এক্সেলেরেট এনার্জি এলপি থেকে এক কার্গো এবং সিঙ্গাপুরভিত্তিক গানভর প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এক কার্গো ও সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া থেকে ২ কার্গো এলএনজি কেনা হবে। এতে মোট খরচ হবে ১ হাজার ৬৩৭ কোটি ৪৩ লাখ ২২ হাজার টাকা।

তিনি জানান, বিদু্যৎ ও জ্বালানির দ্রম্নত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) আইন-২০২১ এর আওতায় স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির প্রত্যাশাগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক্সেলেরেট এনার্জি এলপি থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি এমএমবিটিইউ ৯.৭৮৫৮ মার্কিন ডলার হিসাবে মোট ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানিতে ৪২৩ কোটি ১৬ লাখ ৯৩ হাজার ৬৫ টাকা ব্যয় হবে।

জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের আর এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে সিঙ্গাপুরের গানভর প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি এমএমবিটিইউ ৯.৩৬৯০ মার্কিন ডলার হিসাবে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানিতে মোট ব্যয় হবে ৪০৫ কোটি ১৪ লাখ ৫৫ হাজার ৪০৮ টাকা।

এ ছাড়া সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এক কার্গো এলএনজি ৪০৯ কোটি ৫১ লাখ ৩১ হাজার ৪০ টাকা ব্যয়ে আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এ ক্ষেত্রে প্রতি এমএমবিটিইউর মূল্য পড়বে ৯.৪৭ মার্কিন ডলার।

সিঙ্গাপুরের একই প্রতিষ্ঠান থেকে আর এক কার্গো এলএনজি ৩৯৯ কোটি ৫১ লাখ ৫২ হাজার ৭৬১ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রতি এমএমবিটিইউ'র মূল্য পড়বে ৯.২৩৮৮ মার্কিন ডলার।

তিনি বলেন, 'অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিইএ) সভার অনুমোদনক্রমে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কেনার জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত ২২টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মাস্টার সেল অ্যান্ড পার্সেস এগ্রিমেন্ট (এমএসপিএ) চুক্তি চূড়ান্ত করা হয়েছে।'

এর পরিপ্রেক্ষিতে পেট্রোবাংলা থেকে এলএনজি সরবরাহের জন্য ২২টি প্রতিষ্ঠানের কাছে থেকে দরপ্রস্তাব আহ্বান করা হয়। দরপ্রস্তাব দাখিল করে প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে থেকে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান থেকে এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে প্রস্তাব প্রক্রিয়াকরণ কমিটির (পিপিসি) এ বিষয়ে সুপারিশ করে।

ব্যয় বাড়ল কর্ণফুলী টানেলের

সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান জানান, 'কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহুলেন সড়ক টানেল নির্মাণ' প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের চুক্তির মেয়াদ ও মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নতুন করে ব্যয় বাড়ানো হয়েছে এক কোটি ৪ লাখ ৪১ হাজার ৫৩৬ টাকা।

২০১৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সিসিজিপি সভায় কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহুলেন সড়ক টানেল নির্মাণ প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে যৌথভাবে এসএমইসি এবং সিওডবিস্নউআইকে অনুমোদন দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৫৮ হাজার ৪৬৪ টাকায় নিয়োগের চুক্তি করা হয়। পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ৫বার বাড়ানো চুক্তির মেয়াদ গত ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয়।

প্রকল্পের ডিফেক্ট লাইবিলিটি পিরিয়ড (ডিএলপি) চলাকালীন মূল টানেলের ডিফেক্ট শনাক্ত করা ও অসম্পন্ন কাজ তদারকির জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের চুক্তির মেয়াদ আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এ কারণে মূল চুক্তির অতিরিক্ত এক কোটি ৪ লাখ ৪১ হাজার ৫৩৬ টাকা ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে সংশোধিত চুক্তিমূল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯২ কোটি ৩৭ লাখ ৫৮ হাজার ৪৬৪ টাকা।

এদিকে 'মাতারবাড়ী পোর্ট ডেভেলপমেন্ট' প্রকল্পের (চবক অংশ) আওতায় পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের অতিরিক্ত কাজের ভেরিয়েশন বাবদ ২৪ কোটি ৫ লাখ ৩২ হাজার ৪৬৩ টাকা অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

এই প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিপ্পন কোই কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে ২৩৪ কোটি ৩ লাখ ৬ হাজার ৬১৪ টাকায় নিয়োগের চুক্তি করা হয়। চুক্তি অনুসারে পরামর্শক সেবা কাজ চলমান। প্রথম চুক্তির পর অতিরিক্ত হিসেবে ফেজ-২ এর এরিয়া সার্ভিস অ্যান্ড ফিজিবিলিটি স্টাডি কাজ সম্পাদনের জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ব্যয় বৃষ্টির ওই প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, সভায় ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার অ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট (সিএসএডবিস্নউএম) প্রজেক্টের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে যৌথভাবে ডিভনকন, ডিএসইচভি, একিউইউএ, ইপিসি এবং আইডবিস্নউএমকে নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পরামর্শক ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩ কোটি ৭৫ লাখ ৭৫ হাজার ৭৫০ টাকা।

এ ছাড়া 'জাতীয় উন্নয়ন প্রশাসন একাডেমি প্রতিষ্ঠা (দ্বিতীয় সংশোধিত)' প্রকল্পের পূর্ত কাজের দ্বিতীয় ভেরিয়েশন প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এই প্রকল্পে নতুন করে ব্যয় বাড়ানো হয়েছে ২৮ কোটি ৮ লাখ ৫ হাজার ২৮৪ টাকা।

সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা (সিসিজিপি) অনুমোদন নিয়ে 'জাতীয় উন্নয়ন প্রশাসন একাডেমি প্রতিষ্ঠা (দ্বিতীয় সংশোধিত)' প্রকল্পের পূর্ত কাজ হাসান অ্যান্ড সন লিমিটেডের কাছ থেকে ১৫৭ কোটি ৯৭ লাখ ৩৯ হাজার ৫৩০ টাকায় ক্রয়ের চুক্তি করা হয়। চুক্তি অনুসারে কাজ চলমান অবস্থায় কিছু টেন্ডারভুক্ত/টেন্ডার বহির্ভূত আইটেম হ্রাস/বৃদ্ধি হওয়ায় ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

৩৫১ কোটি টাকায় কেনা হচ্ছে সার

রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় সৌদি আরব ও রাশিয়া থেকে ৭০ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানি করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব। তিনি বলেন, 'এর মধ্যে ৪০ হাজার টন ডিএপি ও ৩০ হাজার টন এমওপি সার রয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ৩৫১ কোটি ২৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।'

মো. মাহমুদুল হোসাইন খান জানান, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) কর্তৃক রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় সৌদি আরবের 'মা আদেন' থেকে তৃতীয় লটে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা। বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজারমূল্যে প্রতি মেট্রিক টন ডিএপি সার ৫৮১ ডলার। সর্বমোট মূল্য ২ কোটি ৩২ লাখ ৪০ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৫৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।

তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) কর্তৃক রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় রাশিয়ার জেএসসি ফরেন ইকোনমিক করপোরেশন 'প্রডিন্টরগ' থেকে পঞ্চম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন মিউরেট-অব-পটাশ (এমওপি) সার আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা।' বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজারমূল্যে প্রতি মেট্রিক টন এমওপি সার ২৮৯ দশমিক ৭৫ ডলার। সর্বমোট মূল্য ৮৬ লাখ ৯২ হাজার ৫০০ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯৫ কোটি ৬১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।

তিনি আরও বলেন, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে এমওপি সার আমদানির লক্ষ্যমাত্রা ৯ লাখ মেট্রিক টন। এ পর্যন্ত ৭ লাখ ৬৭ হাজার মেট্রিক টন আমদানি করা হয়েছে বলেও উলেস্নখ করেন তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে