শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

কিশোরগঞ্জে প্রকাশ্যে ঘুষ নেওয়া সেই ভূমি অফিস কর্মী সাময়িক বরখাস্ত

যাযাদি ডেস্ক
  ০২ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
কিশোরগঞ্জে প্রকাশ্যে ঘুষ নেওয়া সেই ভূমি অফিস কর্মী সাময়িক বরখাস্ত

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজখাপন ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের সহকারী আবদুল কাদির মিয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, দপ্তরে সেবা নিতে আসা এক ব্যক্তির কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে আবদুল কাদিরকে রোববার বিকালে সাময়িক বরখাস্তের চিঠি দেওয়া হয়েছে। ঘুষের টাকা গুনে নেওয়ার সেই ভাইরাল ভিডিওর সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

এর আগে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজখাপন ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের সহকারী আবদুল কাদির মিয়া দপ্তরে বসে ঘুষ নিচ্ছেন এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ওই কর্মচারীকে উপজেলা ভূমি কার্যালয় থেকে কারণ দর্শানোর চিঠি (শোকজ) দেওয়া হয়েছিল। তবে রোববার পর্যন্ত বেঁধে দেওয়া সময় চিঠির কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি আবদুল কাদির। এজন্য তার বিরুদ্ধে সাময়িক বরখাস্তের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে আবদুল কাদিরের মুঠোফোনে বারবার চেষ্টা করে বন্ধ পাওয়া যায়। খুদে বার্তা পাঠিয়েও কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।

ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান স্থানীয় লোকজন। নুরুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, 'যে জায়গা খারিজ করতে ৩ হাজার টাকা লাগে, সেখানে ভূমি অফিসে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা দিতে হয়। শুধু তা-ই নয়, টাকা নিয়েও কাজ করতে গিয়ে হয়রানি করে। মাসের পর মাস ঘুরতে হয়।'

ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওতে দেখা যায় সেবাগ্রহীতা বলছেন, 'সব খারিজ তো সমান না। গরিব মানুষ, কাজটা করে দিয়ে দেন।' উত্তরে আবদুল কাদির বলেন, 'কথা ছিল ছয় হাজার টাকা দেবেন। কম দিতে পারবেন না। প্রয়োজনে পরে হলেও দিতে হবে। একটা কাজ করে কিছু টাকা পাওয়া না গেলে চলে?' এরপর টাকাগুলো গুনে পকেটে ভরেন আবদুল কাদির।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে