শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

আদর্শের প্রতি ষোল আনা অঙ্গীকার থাকা জরুরি

আলোচনা সভায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
যাযাদি রিপোর্ট
  ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
আদর্শের প্রতি ষোল আনা অঙ্গীকার থাকা জরুরি

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি বলেছেন, 'আমাদের ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগসহ যত সংগঠন আছে সব সংগঠনের সবার সামগ্রিকভাবে আমাদের বৃহত্তর যে আওয়ামী পরিবার আছে আমাদের ঐক্য, আমাদের আদর্শের প্রতি ষোল আনা অঙ্গীকার ও শৃঙ্খলা থাকা জরুরি। কারণ, আমাদের যত অর্জন, বাংলাদেশের যত অর্জন সবকিছু এসেছে আওয়ামী লীগের মাধ্যমে। আর সেই অর্জনকে নস্যাৎ করে দেওয়ার জন্য যে অপশক্তি, তারা বঙ্গবন্ধুর সময় যেমন ছিল, আজকেও তারা সক্রিয় আছে।'

রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে '১/১১-এর সময়ে কারাবন্দি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার মুক্তির দাবিতে ২৫ লাখ গণস্বাক্ষর জমা' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, 'আমাদের ঐক্য, সংকল্পের দৃঢ়তা, দলীয় আনুগত্য যদি সুধরে রাখতে না পারি, তাহলে কিন্তু সেই অপশক্তি আবারও ছোবল হানবে। তাই দেশের বৃহত্তর রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব ওই অপশক্তি যেন কখনও ছোবল মারতে না পারে, সেটা লক্ষ্য রাখতে হবে। সেই দায়িত্ব পালনে যেন আমরা কখনও পিছ পা না হই। আমি মনি করি, সেটিই আমাদের অঙ্গীকার হওয়া উচিত।'

দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে ডা. দীপু মনি বলেন, নেত্রীর জন্য জানও দিয়ে দেবেন বলেন, কিন্তু নেত্রীর নেতৃত্বে দলের যে সিদ্ধান্ত সেটা মানবেন না, নিজেরা নিজের মতো চলবেন- এটাতো আসলে হওয়া উচিত না।

ডা. দীপু মনি বলেন, 'আমরা কথায় কথায় বলি, নেত্রীর জন্য জান দিয়ে দেবো। কিন্তু কেউ জান দিয়ে দিক এটা নেত্রী চান না। নেত্রী যে সিদ্ধান্ত দেন, সেই সিদ্ধান্ত মানি কিনা? সেটা কেন্দ্রে হোক, তৃণমূলে হোক, যেখানেই হোক। আমাদের সবার যদি এরকম হয় যে, বিচার মানি তালগাছ আমার, তাহলে কিন্তু হবে না। তাহলে কিন্তু নেত্রীর প্রতি ভালোবাসা হলো না।'

তিনি আরও বলেন, 'আওয়ামী একটি গণতান্ত্রিক দল, এর সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়াও গণতান্ত্রিক। নেত্রী কারও ওপর কিছু চাপিয়ে দিচ্ছেন না। প্রত্যেকের সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনার মধ্য দিয়ে একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। মূল সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমাদের মত থাকতে পারে। কিন্তু যখন সিদ্ধান্ত হয়ে যায়, তখন সেটা দলীয় সিদ্ধান্ত। হয় আমি সেই সিদ্ধান্ত মানি, না হয় আমি দল করব না। সেই স্বাধীনতা আপনার আছে। কিন্তু আপনি দলও করবেন, নেত্রীর জন্য জানও দিয়ে দেবেন বলবেন, কিন্তু নেত্রীর নেতৃত্বে দলের যে সিদ্ধান্ত সেটা মানবেন না, তখন নিজেরা নিজের মতো চলবেন, এটাতো আসলে হওয়া উচিত না।'

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী আরও বলেন, ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগকে ভাঙতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়ে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৮ সালের ১১ জুন জনতার চাপে বাধ্য হয়েছিল শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে। মাত্র ১৫ দিনে ২৫ লাখ স্বাক্ষর সেই সময় সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিল। আরেকটি ভূমিকা রেখেছিল আমাদের বর্ধিত সভা। যেখানে সারাদেশ থেকে নেতারা এসে সারাদেশকে জানিয়ে দিলো 'নো শেখ হাসিনা, নো ইলেকশন'।

সাপ্তাহিক গণবাংলার প্রধান উপদেষ্টা এম এ করিমের সভাপতিত্বে ও সাবেক ছাত্র নেতা চন্দন কুমার ঘোষের পরিচালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে